মাদকে ভাসছে শাল্লার প্রত্যন্ত গ্রাম
বিপ্লব রায় ,শাল্লা প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় মাদকের ভয়াবহ অবস্থা।নানান জাতের মাদকের নেশায় তারুন্য বুদ হয়ে আছে। হাত বাড়ালেই যত্রতত্র মিলছে মাদক।এতে এলাকায় অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বনাশা ব্যাধি ছড়াচ্ছে শাল্লা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের চোরা চালানী সিন্ডিকেট চক্র। এ চক্রটির সাথে প্রশাসনের কিছু অসাধু ব্যক্তিগন এবং এস আই জিন্নাতুল ইসলাম জড়িত বলে জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ। পাশাপাশি চলছে জোয়ার আসর, প্রদর্শনসহ অবাদ এই প্রত্যক্ষ অঞ্চলের সামাজিক পরিবেশ কুলশিত হচ্ছে। আর এত উদ্ধেক জনক ভাবে যুব সমাজ সম্পৃক্ত হচ্ছে। ব্যাপক ভাবে বিপদগামী হচ্ছে সম্ভাবনার যুবশক্তি। এছাড়া কামার গাওঁ, জাদগাওঁ, নারকিলা, প্রতাপপুর মুক্তারপুর (শেখ হাটি) কলাকান্দি (্ঋষি পাড়া) উজানগাওঁ ,হরিনগর, ভেরামোহনাড় গাড়ি/নৌকাঘাট এসকল স্পর্ট গুলোতে চোলাই মাদকের রয়েছে জমজমাট ব্যবসা। ১৫ বছরের তরুন থেকে শুরু করে ৫০ বছর বয়সী বৃদ্ধ প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ জন লোক পাশাপাশি বসে মাদক গ্রহন করছে। তাদের মধ্যে কেউ সিগারেটের ভিতরে গাঁজা ভরে আবার কেউ মদপান করে জীবন ধংশকারী এই বিষ গ্রহন করছে। এই মাদকের অবাদ বেচাকেনা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলতে থাকে। সারা দিনই আশপাশসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদকসেবীরা এখানে আসে। তবে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাদক বেচাকেনা আরও জমজমাট রুপ লাভ করে। মাদক ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে খোজ নিয়ে জানা যায় , তারা বহু দিন ধরে সমাজে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সমাজের অধিকাংশ তরুন যুবসমাজের লোকজন মাদক সেবনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়ছে। ফলে তরুন ও যুবসমাজ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে, রয়েছে কিছু ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ী। তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে মদ সংগ্রহ করে নিজ বাড়িতে বসে মদ বিক্রি ও মদপান করে। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়- মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকসেবীদের জ্বালায় তারা দিন দিন অতিষ্ট হয়ে উঠছেন, কারন এদের অধিকাংশই বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকান্ডে জড়িত। যার ফলে ,সমাজে সন্ত্রাস, খুন, অপহরন, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ ছড়িয়ে পড়ছে সবচেয়ে বেশী। মাদকের কারনে অনেক পরিবারের স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাচ্ছ । ্এলকাবাসীর অভিযোগ, মাদক ব্যবসা ও মাদকসেবীদের উৎখাতে পুলিশ তৎপর নয়। যার ফলে,সমাজে দিন দিন বেড়ে উটছে মাদকসেবী এবং মাদক ব্যবসায়ী। চোলাই মাদক ব্যবসায়ীদের নিজের লাভের আশায় জীবন ধ্বংশকারী এ মরন বিষ তুলে দিচ্ছে সমাজের মানুষের হাতে। প্রতিদিন মাদক নেয়ার ফলে ক্রমাগত মৃত্যুর ঝুকির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে অসংখ্য মানুষ। ধ্বংস হতে চলছে তাদের সংসার। অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ। তাছাড়া ভোগান্তিতে পড়ছেন অসংখ্য মানুষ। জানা যায় জিন্নাতুল ইসলামের মনোনীত ব্যাক্তি শাল্লা উপজেলার উচ্চগ্রামের শিরুর মিয়া(সাবেক ইউপি সদস্য)ও সাইদুল ইসলামের সহযোগীতায় মাদক সিন্ডিকেট চক্র থেকে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে আসছে। এছাড়াও উজানগাঁও গ্রামের হেলাল মিয়া ও জ্যোতিকে দিয়ে জোয়ার আসর বসিয়ে প্রতিদিন ৬ হাজার টাকা নিয়ে আসছে। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমানের সাথে এ প্রতিনিধির কথা হলে তিনি বলেন, তিন দিন হয় আমি শাল্লা থানায় এসেছি। মাদকের পরিস্থিতি কেমন তা বলতে পারতেছি না। যদিও শাল্লায় মাদক ছড়িয়ে থাকে তাহলে অভিযান পরিচালনা করে মাদক কারবারিদের আস্তানা গুরিয়ে দেয়া হবে । যুব সমাজকে ধ্বংশের হাত থেকে রক্ষা করতে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।