দশ বছর প্রতিক্ষার অবসান : আজ চালু হচ্ছে কাজিরবাজার সেতু
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ নির্মাণ শুরুর দীর্ঘ দশ বছর পর অবশেষে আজ উদ্বোধন হচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত কাজির বাজার সেতু। যদিও নির্মান শুরুর দুই বছর পরই উদ্বোধন করার কথা ছিল সেতুটির। সিলেট নগরীর যানজট নিরসনে শেখঘাট এলাকায় সুরমা নদীর উপর নির্মিত কাজিরবাজার সেতুর আজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১ টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সেতুটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেবেন সিলেটের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সওজ’র কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। সেতুটির উদ্বোধন উপলক্ষ্যে সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন।
এরআগে গত ২০ আগস্ট উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিলো কাজিরবাজার সেতুর। কথা ছিলো প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই সেতুর উদ্বোধন করবেন। তবে সে যাত্রায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন তালিকা থেকে হঠ্যাৎ বাদ পড়ে যায় এই সেতু।
সে সময় বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী সিলেট এসে এই সেতুর উদ্বোধন করবেন। তবে আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই এ সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সিলেটের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী চন্দন কুমার বসাক এই প্রতিবেদককে বলেন, কাজির বাজার সেতু উদ্বোধনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। উদ্বোধন উপলক্ষ্যে সেতুটিকে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়েছে।
কাজিরবাজার ব্রিজটিকে প্রথমাবস্থায় চার লেন বিশিষ্ট ৩৬৬ মিটার দীর্ঘ এবং ১৯ মিটার প্রস্থের অত্যাধুনিক সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। প্রাথমিক নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৪৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। ২০০৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর সেতুটির ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান ও যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদা।
সে সময় সেতুটির নির্মাণকাজ ২০০৭-০৮ অর্থবছরের মধ্যে সমাপ্ত করার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে সেতুটির কাজ শেষ হয়নি। বরং বন্ধ হয়ে পড়ে সেতুর নির্মান কাজ। দীর্ঘদিন বন্ধ থকার পর ২০০৯ সালে মহাজোট সরকার কাজিরবাজার সেতু প্রকল্প সংশোধন করে। পরিবর্তন আনা হয় নকশায়। তখন নির্মাণ ব্যয় বাড়িয়ে করা হয় ১৬২ কোটি টাকা।
এদিকে কাজিরবাজার ব্রিজের সঙ্গে বরইকান্দি-কামালবাজার সড়কের সংযোগ সড়ক প্রকল্পের অনুমোদন এখনো হয়নি। ডিপিইসি মিটিংয়ে প্রকল্পটি উপস্থাপিত হওয়ার পর কিছু সংশোধনের জন্য ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র। সংশোধনের পর ফের উপস্থাপন করা হবে। সংযোগ সড়কটি নির্মাণের জন্য ৩৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।