সিএনজি চালক জহিরুল খুনের দায় স্বীকার করেছে আশিক
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ কোম্পানীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সিএনজি চালক জহিরুল ইসলাম খুনের ঘটনায় দায় স্বীকার করছে আশিক। সোমবার বিকালে সিলেটের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিকালে সে খুনের ঘটনা স্বীকার করেছে। এমন তথ্য জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা।
বিকেল পৌনে ৫টা থেকে ৪৫ মিনিটব্যাপী সিলেটে আমলী গ্রহণ আদালতের বিচারক নাজমুল ইসলাম এ জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এর আগে রবিবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কর্মকর্তারা আশিককে গ্রেপ্তারের পর হবিগঞ্জে বিক্রি করে দেওয়া ছিনতাইকৃত অটোরিকশাটি উদ্ধার করেন।
আর এরই মাধ্যমে আলোচিত এ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করলো পিবিআই। আর আশিক সহ এ নিয়ে দুই জন আলোচিত খুনের মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। আশিক’র আগে গ্রেপ্তারকৃত তাজিদ এ ঘটনায় স্বীকারোক্তি দেয়।
পিবিআই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিএনজি চালক জহিরুল ইসলাম খুনের মিশনে অংশ নিয়েছিল ৯ জন। সিএনজি অটোরিক্সা ছিনতাই করতে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। তাদের ৯ জনের দল সিলেটে আরও সিএনজি ছিনতাই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে ধারনা করা হচ্ছে। তবে, এখনও তারা এ ব্যাপারে মুখ খুলেনি।
ঘটনা ২০১৪ সালের ৩১ শে আগষ্ট। ওই দিন সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কাঠালবাড়ি গ্রামের অটোরিক্সা চালক জহিরুল ইসলামকে খুন করে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা। খুনের ঘটনার পর দিন সন্ধ্যায় খুনিরা কোম্পানীগঞ্জ-ছাতক সড়কের ধলাবিল নামক স্থানে লাশ পানিতে ফেলে দেয়। এরপর তারা সিএনজি নিয়ে সিলেট নগরীতে চলে আসে।
এ ঘটনায় জহিরুলের ভাই জিয়াউল ইসরাম বাদি হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শংকর নন্দি মজুমদার এজাহার নামীয় ৭ জন সহ মোট ৯ জনকে অভিযুক্ত করে সিলেটে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে বাদিপক্ষ নারাজি দিলে মামলাটি পুন:তদন্তের জন্য পিবিআই’র কাছে পাঠানো হয়।
পরে পিবিআই কর্মকর্তারা এ ঘটনায় তাজিদ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেন। সে আদালতে জবানবন্দি দেয়। গত রবিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পিবিআই’র ইন্সপেক্টর শরিফুল ইসলাম সহ পুলিশ দল নগরীর আখালিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেন খুনের ঘটনার মুল হোতা আশিককে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর শরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, আশিক আদালতে খুনের দায় স্বীকার করেছে। খুনের ঘটনার পর ছিনতাই হওয়া গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। সেটি হবিগঞ্জ থানায় রয়েছে। তিনি বলেন, হবিগঞ্জের গ্যারেজের মালিক খালেকুজ্জামানকে গতকাল আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন।