ওসমানী হাসপাতালে ছাত্রলীগ কর্মীর হামলায় পুলিশ আহত
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক পুলিশ সদস্যকে মারধর করে রক্তাক্ত করেছে ছাত্রলীগ কর্মী ও তার সহযোগীরা। আহত সুমিত কুমার পাল আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়নের সদস্য। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালের ভেতরে মদন মোহন কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী রেজার নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে। রেজা সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ইনাতাবাদের সাচ্চা মিয়ার ছেলে ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের ভাতিজা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়- মঙ্গলবার দুপুরে রেজা তার কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে ওসমানী হাসপাতালে এক আত্মীয়কে দেখতে যায়। একই সময়ে পুলিশ সদস্য সুমিত কুমার পালও তার এক আত্মীয়কে নিয়ে হাসপাতালে যান। হাসপাতালের ওয়ার্ডের ভেতর ঢোকা নিয়ে সুমিতের সাথে রেজার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রেজার নেতৃত্বে তার সহযোগীরা পুলিশ সদস্য সুমিতের উপর হামলা চালায়। মারধরে সুমিতের হাত ও মাথা কেটে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। সুমিতকে মারতে গিয়ে গ্লাসে লেগে নাহিদ নামের রেজার এক সহযোগীরও হাত কেটে যায়।
এদিকে, ঘটনার পর ওসমানী হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা রেজাকে আটক করেন। খবর পেয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. রহমত উল্লাহ ও কোতোয়ালী থানার ওসি আতাউর রহমান হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে যান। রেজাকে ছাড়িয়ে নিতে ছাত্রলীগ নেতারাও সেখানে ছুটে আসেন। একপর্যায়ে ঘটনাটি তুচ্ছ ও ভুল বোঝাবুঝি দাবি করে পুলিশ রেজাকে ছেড়ে দেয়। এ ব্যাপারে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. রহমত উল্লাহ জানান- তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে তা মীমাংসা করে দেয়া হয়েছে।