আদিবাসী ধর্ষণকান্ড : যেভাবে ফাঁদে ফেলে মাইক্রোবাসে তোলা হয়
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ রাজধানীতে চলন্ত মাইক্রোবাসে গারো তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় আশরাফ ওরফে তুষার ও চালক লাভলুকে আটক করছে র্যাব।
মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে রাজধানী ও পটুয়াখালী থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ হাসান। বুধবার দুপুরে র্যাব সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। এ সময় গ্রেফতারকৃত দুই জনকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হয়। উদ্ধার করা হয় তাদের ব্যবহৃত গাড়িটিও।
সংবাদ সম্মেলনে মুফতি মাহমুদ হাসান বলেন, ‘গ্রেফতারকৃত দুই জনই ধর্ষণের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী। মেয়েটিকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেওয়ার পর তারা ধর্ষণে অংশ নেয় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।’
তিনি বলেন, ‘দুই ধর্ষকই পেশায় গাড়িচালক। তারা বায়িং হাউসে বিদেশিদের গাড়ি চালায়। ঘটনার আগে তরুণী নিজের কর্মস্থলে আশরাফ খানকে দেখেছিলেন। ঘটনার সময় বায়িং হাউসের গাড়িই ব্যবহার করা হয়েছে। তরুণীকে ফাঁদে ফেলেই সে দিন মাইক্রোবাসে তোলা হয়েছিল। ধর্ষকরা আগেই জানতো, তরুণী অপেক্ষায় থাকা মাইক্রোবাসটির সামনে থেকেই বাসে ওঠার চেষ্টা করবে। তাই সেখানেই তারা মাইক্রোটি নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। তরুণীকে দেখামাত্রই আশরাফ বলতে থাকে, তাদের মাইক্রোবাসটি উত্তরার দিকে যাবে। এ জন্য তাকে সে মাইক্রোবাসে ওঠার অনুরোধ করলে সে তাতে ওঠে। এর পরই চলে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন।’
তিনি জানান, লাভলুকে গ্রেফতার করা হয় ঢাকার গুলশান-১ এলাকা থেকে। আর তুষারকে গ্রেফতার করা হয়েছে পটুয়াখালী কলাপাড়া থেকে।
গত ২১ মে রাতে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে ওই গারো তরুণীকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। তরুণীটি যমুনা ফিউচার পার্কে একটি পোশাকের দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ ঘটনার পর শুক্রবার রাজধানীর ভাটারা থানায় মামলা করেন ওই তরুণী।