তিন সিটিতে নতুন নির্বাচন দাবি বিএনপির
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিটি নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির বিচার বিভাগীয় সুষ্ঠু তদন্ত করে শিগগিরই নতুন আরেকটি নির্বাচনের দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসম হান্নান শাহ।
শনিবার সকাল সোয়া ১০টায় জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ৩৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
হান্নান শাহ বলেন, ‘২৮ এপ্রিল যে সিটি নির্বাচন হয়েছে—তা একটি কারচুপি ও প্রহসনের নির্বাচন। এটি একটি ত্রুটিপূর্ণ নির্বচনই নয়, নীলনকশার নির্বাচন। এই কলংকিত নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন জেনেশুনে সহযোগিতা করেছ।’
তিনি বলেন, ‘দেশ বিদেশে এ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বিএনপি একটি দায়িত্বশীল ও গণতান্ত্রিক দল তাই নিরব প্রতিবাদ করেছি। এজন্য সবাই আমাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য অভিযোগ করে বলেন, ‘নির্বাচনের দিনে আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মীরা আইন না মেনে কেন্দ্রের ভিতরে সিল মেরেছে—অথচ ম্যাজিস্ট্রেট তাদেরকে গ্রেপ্তার করেনি। উল্টো পোলিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসাররা সিল মেরেছে। পুলিশ-র্যাব তাদের সহযোগিতা করেছে।’
হান্নান শাহ বলেন, ‘এই নির্বাচনকে সবাই প্রত্যাখান করেছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে। আমরাও বিচারবিভাগীয় সুষ্ঠু তদন্ত ও নতুন নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।’
পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতারা শিগগিরই বৈঠকে বসবেন। ওই বৈঠকেই পরবর্তী করণীয় নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধীদলের নেতাদের দমানোর জন্য হাজার হাজার মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে দাবি করে হান্নান শাহ বলেন, ‘মিথ্যা মামলাগুলোর চার্জশিট দেয়া হচ্ছে। এগুলো অব্যহত থাকলে একটি প্রহসনের বিচার হবে।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘সরকার নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমে মিথ্যা মামলা দিয়ে বাণিজ্য করছে।’
যারা এইসব মিথ্যা মামলা নিতে হুকুম দিচ্ছে তাদেরকে একদিন বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে বলেও সাবধান করে দেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।
নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে হান্নান শাহ বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ বলেছেন—নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এখন জনগণ যদি গণধোলাই দেয় সেটাও কি সুষ্ঠু গণধোলাই হবে।’
দুর্বৃত্তরাই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টার অংশ হিসেবেই এ হামলা চালানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জিয়ার নাম রয়েছে সবার অন্তরে—সেখান থেকে মুছে ফেলা যাবে না।’
এসময় শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনসহ শ্রমিক দলের কয়েকশ’ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।