উদ্ধার কাজে শেরপারা, বরফ খুঁড়লেই মিলছে লাশ
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ হিমালয়ে তুষারধসের প্রাথমিক ধাক্কাটা কাটার পরেই একটু একটু করে পরিষ্কার হতে শুরু করেছে ধ্বংসের ছবিটা। কোনও রকমে প্রাণে বেঁচেছেন এটা বুঝতে পারার পরেই তছনছ হয়ে যাওয়া বেস ক্যাম্প থেকে আহতদের উদ্ধারের কাজে নেমে পড়েছেন শেরপারা। সঙ্গে রয়েছে ভারতীয় সেনার দল। আহতদের শুশ্রূষার জন্য এগিয়ে এসেছেন সেনা-চিকিৎসকও। দিনভর বরফ খুঁড়ে বের করা হয়েছে একের পর এক মৃতদেহ।
সোমবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নেপালে মৃতদেহের সংখ্যা তিন হাজার ২১৮জন ছাড়িয়েছে। আজ সোমবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান রামেশ্বর দাঙ্গাল এ তথ্য জানান। আহত ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছে ছয় হাজার ৫০০ জনের বেশি।
বিবিসির খবরে জানানো হয়, ভূমিকম্পে গৃহহীন কাঠমাণ্ডুর মানুষ গতকালও খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা গৃহহীনদের জন্য তাঁবুর ব্যবস্থা করছে। যাদের ঘর বিধ্বস্ত হয়নি, তাঁরাও খোলা আকাশের নিচে থাকছেন। গতকাল আবার ভূমিকম্প হওয়ায় তাঁরা ঘরে ফিরতে ভয় পাচ্ছেন।
শনিবারের ভূমিকম্পে কাঠমান্ডুর অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি। ভূমিকম্পের পর উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়। রবিবার দুপুরেই আরও এক বার কেঁপে ওঠে বেস ক্যাম্প। নুপৎসে শৃঙ্গ থেকে একটা ছোটখাটো তুষারধসও নামে, কিন্তু নতুন করে বিপদ বাড়েনি বলেই জানান বেস ক্যাম্পের অভিযাত্রীরা।
অভিযাত্রীকে রবিবার আকাশ পথে কাঠমান্ডু পাঠানো হয়েছে। দেহগুলি এখনও বেসক্যাম্পে রয়েছে। সোমবার আবহাওয়া ভাল থাকলে সেগুলি কাঠমান্ডু পাঠানোর কথা। অনেক অভিযাত্রী এখনও নিখোঁজ।
নেপাল দূতাবাসের এক মুখপাত্র জানান, সরকারি ভাবে অভিযান ‘বাতিল’ ঘোষণা না করা হলেও বেস ক্যাম্পে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাতে অভিযান এগোনো মুশকিল। বেস ক্যাম্প থেকে ক্যাম্প ওয়ানে যাওয়ার পথও নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে নেপালের শেরপা সংগঠন সূত্রের খবর।