ওসমানীনগরে প্রবাসীর বাসার কেয়ারটেকারকে পিটিয়ে হত্যা
ওসমানীনগর প্রতিনিধিঃ ওসমানীনগরে এক ব্যাক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে আপন চাচাতো ভাই ও ভাতিজারা। তিনি উপজেলার সাদীপুর (গলাচিপা) গ্রামে মৃত রমিজ উদ্দিনের পুত্র মো: মাখন মিয়া (৫৫)। খবর পেয়ে থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের সাদীপুর (গলাচিপা) গ্রামের দুই বছর ধরে প্রবাসী আমজদ আলীর বাড়িসহ সায়-সম্পত্তি দেখাশুনা করে আসছিলেন নিকট আত্বীয় মো: মাখন মিয়া। এ নিয়ে চাচাতো ভাই মোজাহিদ আলী ও তার পুত্রদের সাথে মাখন মিয়ার মনমালিন্য চলে আসছিল। গত ৩/৪ দিন পূর্বে প্রবাসী আমজদ আলীর বাড়ি থেকে জোরপূর্বক সাটার আনতে যায় মোজাহিদ ও তার পুত্ররা। এসময় সাটার নিতে তাদের বাঁধা দেন মাখন মিয়া।এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে মোজাহিদ আলী গংরা। এরই জেরধরে ২২এপ্রিল বুধবার বিকালে মোজাহিদ আলী,তার পুত্র জাহেদ (৩৫), সাজ্জাদ (২২) ও শ্যালকদের নিয়ে প্রবাসী আমজদ আলীর বাড়িতে গিয়ে মাখন মিয়াকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিঠিয়ে গুরুতর আহত করেন।
পরবর্তীর্তে চাতুর মোজাহিদ তার মেয়ের জামাই শেরপুর নতুন বাজারের সাদিয়া ফার্মেসির পল্লী চিকিৎসক শামীম আহমদ রাজুর সহযোগিতায় সামান্য চিকিৎসা করিয়ে বুধবার রাতে জোরপূর্বক নিহতের ভাবী রহিমা খাতুনের নিকট রেখে আসেন মাখন মিয়াকে। রহিমা খাতুন মাখন মিয়ার শরিরে মারাত্বক আঘাতের চিহ্ন দেখে বৃহস্পতিবার উপজেলার গোয়ালাবাজারস্থ এমবিবিএস ডাক্তার ইকবাল মাসুদের আসলে তাকে দ্রুত সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মাখন মিয়া মারা যান। খবর পেয়ে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরন করে।
নিহতের ভাবি রহিমা খাতুন জানান, দেবর মাখন মিয়ার কোন স্ত্রী-সন্তান না থাকায় তিনি আমাদের কাছে বসবাস করে আসছিলেন। গত দুই বছর থেকে তিনি আমাদের আত্বীয় প্রবাসী আমজদ আলীর সম্পত্তি দেখাশুনা করে আসছিলেন। বুধবার তুচ্চ ঘটনাকে নিয়ে মোজাহিদ আলী ও তাঁর পুত্ররা মিলে তাকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে পলী চিকিৎসক শামিম আহমদ রাজরু মাধ্যমে জোর পূর্বক আমার বাড়িতে মাখনকে রেখে যায়। পরবর্তীতে আমি মাখন মিয়ার শরিলের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখে গোয়ালাবাজারস্থ এমবিবিএস ডাক্তারের পরামর্শে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। তবে এঘটনায় পরিবারের প্রবাসী সদস্যদের নির্দেশ না পাওয়া থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়নি। পুলিশ লাশ থানায় নিয়ে গেছে।
ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো: মুরছালিন জানান, এ ব্যাপারে থানায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। লাশের শরিলের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন থাকায় লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। তদন্তক্রমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।