মন্দিরে আগুন দিয়ে দায় স্বীকার করে পোস্টার !
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কাকিনা চাঁপানী সার্বজনীন পুরাতন দূর্গামন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিসংযোগের পর দায় স্বীকার করে জামায়াত-শিবিরের নামে মন্দিরের দেয়ালে হাতেলেখা পোস্টার সাটানো হয়েছে। ফলে কারা আগুন দিয়েছে তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। এ অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ভোররাতে। মন্দিরের বাইরে সম্মুখভাগের মাঠে কিছু ছাই পড়ে থাকতে দেখা যায়।
ঘটনার পর পরেই ঘটনাস্থলে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের ভীড় বাড়তে থাকে। দুষ্কৃতিকারীদের চিহ্নিত না করেই পোস্টারের একটি লাইনে লেখা রয়েছে জামায়াত-শিবির/বাংলাদেশ জিন্দাবাদ লেখা থেকেই পরিদর্শনকারী নেতাকর্মীরা তাদের দায়ী করতে থাকে। তারা এলাকাবাসীকে বোঝাতে থাকে- ঘটনাটি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরের প্রতিক্রিয়ায় দলটির নেতা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
মন্দিরের সভাপতি নলিনী মোহন রায় বলেন, মঙ্গলবার ভোরে মন্দিরে আগুন দেখেতে পায় এলাকাবাসী। এ সময় লোকজন এগিয়ে এসে দেখে মন্দিরটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। পরে মন্দিরের পাশে সাটানো বিভিন্ন লেখা সম্বলিত দুটি পোস্টার দেখা যায়। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ প্রশাসনকে অবহিত করা হয়।
দুপুরে স্থানীয় সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দীন সরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম, ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন জানান, ঘটনাস্থলে সাটানো দুটি পোস্টার উদ্ধার করা হয়েছে। জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় ওই মন্দিরের সভাপতি নলিনী মোহন রায় বাদী হয়ে ডিমলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সংসদ সদস্য ও ডিমলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব উদ্দীন সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, যুদ্ধাপরাধীর বিচারকার্যে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে একটি মহল দেশে সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি দাবি করেন, এ ধরনের ঘটনা জামায়াত-শিবির ছাড়া অন্য কেউ ঘটাতে পারে না।
ডিমলা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা অধ্যাপক মজিবুর রহমান এ ন্যাক্করজনক ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সাংবাদিকদের জানান, ‘আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি- দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নয়, অপরাধী যেই হোক নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেয়া হোক।’