কুলাউড়ায় কিশোরীকে ধর্ষণের পর ব্লেড দিয়ে গলাকেটে হত্যা

Kamrul-Kulauraসুরমা টাইমস ডেস্কঃ কুলাউড়ায় কিশোরী তাসলিমা আক্তার নোহা (১৩) কে ধর্ষণের পর ব্লেড দিয়ে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিলো নোহার কথিত প্রেমিক কামরুল (২১)। কামরুলকে কুলাউড়া থানা পুলিশ ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা থেকে ৯ মার্চ আটক করে পরদিন ১০ মার্চ মঙ্গলবার মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরন করলে ১৫৪ ধারায় সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। নিহত নোহার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কামরুল ও নোহার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নোহা নিখোঁজ হওয়ার দিন কামরুল নোহাকে বাসা থেকে নিয়ে যায় এবং নোহাকে ধর্ষণের পর গলা কেটে লাশ জয়পাশার কবরস্থানের পাশে ফেলে পালিয়ে যায়। নোহার লাশ উদ্ধারের পর থেকে কামরুল পলাতক ছিল। অবশেষে ঘটনার ৫ দিন পর পুলিশ কামরুলকে আটক করতে সক্ষম হয় এবং মঙ্গলবার সকালে কামরুলকে কোর্টে সোপর্দ করা হয়। আটককৃত কামরুল কুলাউড়া পৌর এলাকার জয়পাশা এলাকার আব্দুস শুকুরের পুত্র।

জানা যায়, কামরুল ও নোহার মধ্যে ম্যালা দিন থেকে প্রেমের সম্পর্ক চলতে থাকলে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে নোহাকে নিয়ে সে দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার বেড়াতে নিয়ে যায়। এক সময় কামরুল নোহার জীবন থেকে সটকে পড়ে। অনেক খুজাখুজি করে নোহা এক সময় কামরুলের সন্ধান পেয়ে প্রায় তাকে মোবাইল ফোনে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে নোহাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় প্রতারক কামরুল। ঘটনার দিন পরিকল্পিতভাবে নোহাকে সেখানে নিয়ে একাই হত্যা করে পালিয়ে যায়।
মামলার তদন্তাকরী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার এসআই আসলামুজ্জামান জানান, আটককৃত কামরুল নোহা হত্যাকান্ডে তার সম্পৃক্তরা কথা স্বীকার করে ১৫৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, কুলাউড়া পৌরশহরের ৭ নং ওয়ার্ডের জয়পাশা এলাকায় দিঘীর পাড় পৌর কবরস্থানের পাশে তসলিমা আক্তার নোহা (১৩) কে রাতের আধারে ধর্ষণ করে গলা ও হাতের কব্জী কেটে ফেলে রেখে যায়। ৬ মার্চ শুক্রবার সকাল ৮ টার দিকে স্থানীয়রা কবরস্থানের পাশে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দিলে কুলাউড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সে স্থানীয় পৌর শহরের উছলাপাড়া এলাকার আবুল হোসেনের মেয়ে বলে থানা সুত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।