নবীগঞ্জের পল্লীতে মহিলাকে উত্যক্ত ও বাড়ীঘরে ইকপাটকেল নিক্ষেপের প্রতিবাদ করায়
প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধা মা পুত্র আহত,নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে মালা দুটি দায়ের
নবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নবীগঞ্জের পল্লীতে মহিলাকে উত্যক্ত ও বাড়ীঘরে ইটপাটকেল মারার প্রতিবাদ করায় প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধা ছায়া রানী শব্দকর (৬০), হরেন্দ্র শব্দকর(৩০) ও তার স্ত্রী বেলা রানী কর(২৪)কে বেদড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করেছে বজলু মিয়া ও তার লোকজন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হামলাকারীরা এ সময় তাদের ঘর থেকে থেকে নগদ ৮ হাজার টাকা,১০ হাজার টাকা মুল্যমানের একটি কর্নেট বাশিঁসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ছিনিয়ে নিয়ে েেগছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্ট ও জুডিশিয়াল কোর্টে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করায় সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে যার ফলে সংখ্যালঘু ঐ পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
জানাযায়,নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের সংখালঘু মৃত নরেন্দ্র শব্দকরের স্ত্রী ছায়া রানী শব্দকর ও তার পুত্র হরেন্দ্র শব্দকরের জায়গাজমি জোরপূর্বক দখল করে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করে আসছে পাশ্ববর্তী দত্তগ্রামের বাতেন মিয়া ও তার পুত্র বজলু মিয়া গংরা । দীর্ঘদিন যাবত তারা বেলা রানী শব্দকরকে রাস্তাঘাটে উত্যক্ত করাসহ বাড়ীঘরে ইটপাটকেল ছুড়তে আসে। এ বিষয়ে গ্রামের মুরব্বীদের কাছে কয়েকবার বিচার চেয়েও কোন সুরাহা পাওয়া যায়নি। বিচার প্রার্থী হওয়ার কারনে ও প্রতিক্ষের লোকজন তাদেরকে বাড়ীছাড়া করতে না পারার কারনে গত ৩ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে বজলু মিয়া ও বাতেন মিয়া হরেন্দ্র শব্দকর ও ছায়া রনাী শব্দকরের সাথে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদেরকে বেদড়ক মারপিট করে । এ সময় বজলুর লোকজন একই গ্রামের রুহুল আমিন,মরিয়ম বিবি,হোসনা,আলামিন মিয়া,শকুর বানু বেগম,নানু মিয়া গংরা তাদের উপর চড়াও হয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে রক্তাক্ত জখম করে। গুরুতর আহত অবস্থায় ছায়া রানী শব্দকর(৬০),হরেন্দ্র শব্দকর(৩০)কে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহত হরেন্দ্র শব্দকর ও লোকজন ঘটনাটি করগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ছাইম উদ্দিনকে অবগত করে বিচার প্রার্থী হছের কোন বিচার না পেয়ে নিরুপায় হয়ে গত মঙ্গলবার ছায় রানী শব্দকর বাদী হয়ে বজলু মিয়াসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমল আদালতে একটি মাললা দায়ের করেন। এতে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে মাললা তুলে না নিয়ে প্রাণে হত্যার হুমকি দিলে পরদিন গত বুধবার হরেন্দ্র শব্দকর বাদী হয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বজলু ময়িা,বাতেন মিয়াসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ১০৭/১১৪/১১৭(সি) ধারায় পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেন। বিচার চেয়ে মাললা দায়ের করায় প্রতিপক্ষের লোক ক্ষিপ্ত হয়ে ছায়া রানী শব্দকর ও তার পুত্র হরেন্দ্র শব্দকর ও তার পরিবার প্রতিনিয়ত মাললা তুলে না নিয়ে প্রাণে হত্যার হুমকি প্রদান কওে আসছে। এতে করে ঐ সংখ্যালঘু ঐ পরিবারটি হামলাকারীদের হুমকিতে চরম নিরাপত্তহীনতায় ভুগছে। যেকোন সময় কোন পুনরায় হামলার আশংকায় ভুগছে পরিবারটি। এ ব্যাপাওে নবীগহ্জ থানা পুলিশের সুদৃষ্টি কামনা করছে ভুক্তভুগি পরিবারের লোকজন।