নগরীতে গৃহকর্মীকে নির্যাতন করে হত্যা
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ নগরীর খুলিয়াপাড়ায় লিপি বেগম (১৪) নামক এক গৃহকর্মীকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ করেছেন তার বাবা। লিপি ওসমানীনগর থানার জাকিরপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে। এ ঘটনায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। নিহতের শরীরে বিভিন্ন ধরনের কাটা ও জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
নিহত লিপির বাবা আব্দুস সাত্তার গনমাধ্যমকে জানান- গত প্রায় ১৪ মাস ধরে লিপি সিলেট নগরীর খুলিয়াপাড়াস্থ নীলিমা-৩ নং বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতো। ওই বাসার মালিক ওসমানীনগর থানার পশ্চিম ফলাইনপুর ইউনিয়নের বড় হাজীপুর গ্রামের হুসনে আরা বেগম। প্রথমদিকে ওই বাসায় এলে হুসনে আরা কিছু সাহায্য দিয়ে তাকে (সাত্তারকে) বিদায় করে দিতেন। গত প্রায় ৩ মাস ধরে মেয়েকে দেখার জন্য সাত্তার ওই বাসায় এলেও হুসনে আরা গালিগালাজ করে তাকে তাড়িয়ে দিতেন, মেয়েকে দেখতে দিতেন না।
আব্দুস সাত্তার আরো জানান- গতকাল রবিবার হুসনে আরা তাকে ফোন করে লিপির ডায়রিয়া হয়েছে, এজন্য তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান। এ কথা শুনে তিনি (সাত্তার) মেয়েকে দেখতে সিলেট আসার জন্য রওয়ানা হন। কিন্ত কিছুক্ষণ পরই হুসনে আরা ফের ফোন করে লিপির মারা যাওয়ার কথা জানান।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে হুসনে আরা, তার স্বামী ইলিয়াছুর রহমান ও ছোট ভাই মুরাদ মিয়া লিপির লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যান। তারা তড়িগড়ি করে লিপির দাফন সম্পন্ন করতে চাইলে স্থানীয় লোকদের সন্দেহ হয়। এসময় তারা ওসমানীনগর থানায় ফোন করে বিষয়টি অবগত করলে হুসনে আরা, তার স্বামী ও ভাই সেখান থেকে চম্পট দেয়। পরে ওসমানীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করে। বিষয়টি সিলেট কোতোয়ালি থানা পুলিশকেও অবহিত করা হয়। এর প্রেক্ষিতে কোতোয়ালি থানা পুলিশ আজ সোমবার হুসনে আরার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে কাউকে পায়নি।
লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করা কোতোয়ালি থানার এসআই মাসুদ গনমাধ্যমকে জানান- লিপির শরীরে বিভিন্ন ধরনের কাটা ও জখমের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।