হাতুড়ি দিয়ে শিক্ষকের হাত ভেঙে দিলেন আওয়ামী লীগ নেতা
বগুড়া সংবাদদাতাঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি ছুরিকাহত করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা ও তাঁর কর্মীরা। ওই প্রধান শিক্ষককে রক্ষা করতে গিয়ে অন্য এক শিক্ষকও মারধরের শিকার হন। গুরুতর আহত প্রধান শিক্ষককে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত রাশেদুল ইসলাম নন্দীগ্রামের ভাটরা ইউনিয়নের মণিনাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। হামলাকারী আওয়ামী লীগ নেতার ভাই বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদে স্থান না পাওয়ায় দলবল নিয়ে দুই শিক্ষককে মারধর করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রধান শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম জানান, গতকাল বুধবার সকাল ১১টার দিকে তিনি বিদ্যালয় থেকে সহকারী শিক্ষক ইউসুফ আলীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে পণ্ডিতপুকুর যাচ্ছিলেন। পথে বেলঘরিয়ায় আওয়ামী লীগের নেতা রাজীবুল ইসলামসহ ছয়-সাতজন তাঁদের গতিরোধ করে। কোনো কথা না বলেই তারা মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে হাতুড়ির আঘাতে রাশেদুলের বাঁ হাত ভেঙে যায়, এরপর ছুরিকাঘাত করা হয় তাঁকে। এ সময় সঙ্গে থাকা সহকারী শিক্ষক ইউসুফ আলী তাঁকে রক্ষা করতে গেলে তাঁর ওপরও হামলা চালানো হয়। ইউসুফ চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
প্রধান শিক্ষক জানান, সম্প্রতি তাঁর বিদ্যালয়ে পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হয়েছে। ওই কমিটিতে রাজীবের ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম স্থান না পাওয়ায় রাজীব ক্ষিপ্ত হয়ে এ হামলা চালান।
ভাটরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান জানান, রাজীবুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের ওপর হামলার বিষয়টি তাঁরা শুনেছেন।