জিয়ার কারণে মুজিব বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন : মির্জা আব্বাস
নিউইয়র্ক থেকে এনা: শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কারণেই শেখ মুজিব বাংলাদেশের প্রধানমনন্ত্রী হতে পেরেছিলেন। জিয়াউর রহমান যদি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিতেন বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না, বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে শেখ মুজিব কোন দিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন না। গত ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র যুব দলের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে টেলিকনফারেন্সে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং ঢাকা মহানগর বিএনপির আহবায়ক মির্জা আব্বাস এ কথা বলেন। প্রধান অতিথি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, সাজানো বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং স্পীকার নির্বাচিত নন, তারা কাজগে কলমে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং স্পীকার।
অনুষ্ঠানের আহবায়ক যুব দল নেতা মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং যুবদল নেতা আমানত হোসেন আমান, রেজাউল আজাদ ভূইয়া ও শেখ হায়দার আলী পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্ত্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সুপ্রীম কোর্ট বারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু, বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব দলের কেন্ত্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র যুব দলের সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সহ সভাপতি আলহাজ্ব সোলায়মান ভুইয়া, মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, বিএনপি নেতা সরোয়ার খান বাবু, হেলাল উদ্দিন, জসীম ভূইয়া, জাসাসের কেন্ত্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গোলাম ফারুক শাহীন, তারেক ফোরামের সভাপতি অধ্যক্ষ নূরুল আমিন পলাশ, সাবেক সভাপতি রাফেল তালুকদার, বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি শামসুল ইসলাম মজনু, সৈয়দুল হক, নিউজার্সি বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব সৈয়দ জুবায়ের আলী, এডভোকেট কাইয়্যুম চৌধুরী, শিকাগো বিএনপি নেতা শাহ মোয়াজ্জেম নান্টু, শিকাগো বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডেইজি বেগম, দুদু মিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আতিকুল হক আহাদ, সাব্বির চৌধুরী, সালাউদ্দিন রুবেল, রিয়াজ আহমেদ চৌধুরী, জাহিদ খান, বাসিত রহমান, ইকবাল হায়দার, মির মিজান, শাহীন খান, নীরা রাব্বানী, মিজানুর চৌধুরী, এস রহমান সায়েম, বেলাল চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম স্বপন, বোরহান উদ্দিন, জুবায়ের চৌধুরী সায়েম, শেখ হায়দার আলী, এবাদ চৌধুরী, গোলাম হোসেন, আবু সুফিয়ান প্রমুখ।
মির্জা আব্বাস ছাড়াও যুব দলের কেন্ত্রীয় কমিটির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল টেলিফোনে বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন ২৬ মার্চ। স্বাধীনতার ঘোষণার সময় তিনি নিজেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী স্বাধীনতার ঘোষণা করতে হলে তিনটি জিনিস লাগে- একটি হলো ভূখন্ড, জনগণ এবং সরকার। সেই অনুযায়ীই ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। কারণ মুজিব নগর সরকার গঠন করা হয় ১৭ এপ্রিল। ২৬ মার্চ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে কে সরকারে ছিলো। সরকারবিহীন একটি দেশতো চলতে পারে না। আওয়ামী লীগেরই উচিত এখন জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসাবে ঘোষণা করা। তিনি আরো বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে এখন কাগজে- কলমের সরকার, নির্বাচিত সরকার নয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত এমপি নন, বাংলাদেশের বিরোধী দলীয় নেত্রী নির্বাচিত নন, মহান জাতীয় সংসদের স্পীকারও নির্বাচিত নন।
অন্যদিকে যুবদলের কেন্ত্রীয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ সম্পাদক এম এ বাতিন, ছাত্রদলের সভাপতি আতাউর রহমান আতা ও সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জনির নেতৃত্বে জ্যাকসন হাইটসে গত ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বিজয় দিবসের আরেকটি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।