তদবীর করতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতা ফরহাদ থানায় ৩ ঘন্টা আটক
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ নারী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত সহকর্মীকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনতে গিয়ে আটক হয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন খান। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তাকে আটক করে কোতয়ালী থানা পুলিশ। রাত সাড়ে ১০টায় তাকে ছেড়ে দেয় কোতয়ালী থানা পুলিশ।
জানা যায়- প্রায় দেড় মাস আগে ছাত্রলীগ তালতলা গ্রুপের নেতা ফরহাদ আহমদ হৃদয় সিলেট শহরতলীর পিরেরবারজার এলাকার এক মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মেয়ের পরিবার শাহপরাণ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। ১০ ডিসেম্বর নগরী থেকে সোবহানীঘাট ফাঁড়ি পুলিশ হৃদয়কে আটক করে এবং মেয়েটিকে উদ্ধার করে শাহপরাণ থানায় পাঠিয়ে দেয়।
খবর পেয়ে হৃদয়ের বন্ধুরা ছুটে এসে তাকে পুলিশের ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তার বন্ধু কামরান খান, খোকন খান, গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ ওয়াদুদ এমরুল, দক্ষিণ সুরমা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালামসহ কয়েকজনের মধ্যস্থতায় হৃদয়ের সাথে ঐ মেয়ের বিয়ে দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেয়। এরপর মেয়েটিকে নিয়ে হৃদয় বালাগঞ্জস্থ তার গ্রামের বাড়ীতে চলে যান। কিন্তু হৃদয়ের মা এ বিয়ে মেনে নেননি। শ্বশুরবাড়ীতে মেয়েকে নির্যাতন করা হচ্ছে এ অভিযোগ এনে মেয়ের মা সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোতয়ালী থানার এসআই কামাল আহমদ ঝর্ণারপার গিয়ে হৃদয় ও তার স্ত্রীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
হৃদয়কে আটকের খবর পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় সিলেট কোতয়ালী থানায় যান জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন খান। প্রভাব খাটিয়ে হৃদয়কে ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা করলে পুলিশ তাকেও আটক করে।
এ ব্যাপারে আটককৃত ফরহাদ জানান- এই মেয়ে ও তার মা বিয়ের নাটক সাজিয়ে কাবিননামা তৈরি করে বিভিন্ন অজুহাতে থানায় অভিযোগ করে। সোবহানীঘাট ফাঁড়ি পুলিশ হৃদয় ও মেয়েকে আটক করে শাহপরাণ থানায় পাঠিয়ে দেয়। শাহপরাণ পুলিশ কাজী ডেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক দুজনের বিয়ে পড়িয়ে দেয়। কিছুদিন মেয়ের মা কাবিনের দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিয়ে ভেঙ্গে দেয়ার প্রস্তাব দেয় অন্যথায় থানায় অভিযোগের হুমকি দেয়। আজকে হৃদয় ও তার স্ত্রীকে ধরে আনে পুলিশ। আমি বিষয়টি সম্বন্ধে পুলিশ কর্মকর্তাদের অবহিত করতে চাইলে পুলিশ আমাকে আটক করে। ওসি আসার পর আমাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
ঘটনা সর্ম্পকে সিলেট কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন- আমি থানায় না থাকায় ভুল বুঝে ফরহাদ হোসেন খানকে আটক করা হয়েছিল। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। হৃদয় ও মেয়েটির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।