কংগ্রেসম্যান এড রয়েসের সাথে রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিনের বৈঠক
নিউইয়র্ক থেকে এনা: যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন কংগ্রেসের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান এডওয়ার্ড র্যান্ডাল এড রয়েস-এর সাথে গত বুধবার ১৯ নভেম্বর ২০১৪ তাঁর ক্যাপিটল হিলস্থ কার্যালয়ে সাক্ষাত করেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং কংগ্রেসম্যান এড রয়েস বিশ^ব্যাপী সস্ত্রাস ও উগ্রবাদের উত্থানের বিষয়ে আলোচনা করেন। তারা ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলসমূহের সাথে উগ্রবাদীদের যোগসূত্র, অর্থায়ন এবং কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা করেন। কংগ্রেসম্যান রয়েস বলেন, যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান জঙ্গীদের অর্থায়ন করে, সে সব প্রতিষ্ঠানসমূহকে উপযুক্ত আইন প্রণয়নের মাধ্যমে রহিত করা অত্যাবশ্যক।
রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসন ও উগ্র-অপশক্তির উত্থান সম্পর্কে অবহিত করেন। রাষ্ট্রদূত জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার সন্ত্রাস এবং উগ্রবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান বজায় রাখছে। তিনি আরো বলেন যে, বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশ, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রকে নিয়ে সন্ত্রাস দমনে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে। রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন বলেন যে, তৈরী পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও শ্রম অধিকার নিশ্চিতকল্পে সরকার যুক্তরাষ্ট্র প্রদত্ত এ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে উক্ত এ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়নে ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
বর্তমান সরকার তৈরী পোশাক শিল্পকে একটি উৎপাদনমুখী ও টেকসই শিল্প হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে বদ্ধপরিকর। এ প্রসংগে রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন জিএসপি পুনর্বহালের ক্ষেত্রে কংগ্রেসম্যান এড রয়েস-এর সমর্থন কামনা করেন।
কংগ্রেসম্যান এড রয়েস বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবেন বলে আশ^াস দেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশ তার মোট রপ্তানীর এক চতুর্থাংশ যুক্তরাষ্ট্রে
প্রেরণ করে। কিন্তু স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে কোন ধরণের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা পায় না। বিশে^র অন্যান্য উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশের ন্যায় তৈরী পোশাকের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা, বাংলাদেশের তেরী পোশাক শিল্পের বিকাশ ও সুপ্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে। কংগ্রেসম্যান এড রয়েস রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিনকে যুক্তরাষ্ট্রে স্বাগত জানান এবং তার কর্মকালীন সময়ে সকল সহযোগিতার আশ^াস দেন। দূতাবাসের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) নাঈম উদ্দিন আহমেদ উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।