বড়লেখায় বেড়া দিয়ে মাছ শিকার : ভাঙ্গনের মুখে সড়ক ও ব্রিজ
বড়লেখার প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজারের বড়লেখার সুজানগর ইউনিয়নের ধামাই নদীতে অবৈধভাবে বাঁশের বেড়া (খাঁটি) দিয়ে মাছ শিকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে ইউনিয়নের পাটনা গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা, ব্রিজ ও নদীসংলগ্ন ফসলের জমি ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, সুজানগর ইউনিয়নের ধামাই নদীর পাটনা এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি বাঁশের বেড়া দিয়ে মাছ শিকার করছেন। প্রায় প্রতিবছরই তারা এখানে বাঁশের বেড়া দিয়ে থাকেন। এতে বেড়ায় পানি আটকে ফেঁপে পাটনা গ্রামের সড়ক ভেঙে যাচ্ছে। পাশের ফসলি জমি এবং বেড়া সংলগ্ন ব্রিজটির পাশের মাটি সরে যাচ্ছে। অন্যদিকে মাছের অবাধ চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে।
ঝগড়ী গ্রামের বাসিন্দা ক্ষীপক রঞ্জন দাস বেনু জানান, নদীতে বাঁশের বেড়া দিয়ে মাছ ধরার বিষয়টি জানিয়ে তিনি গত বছর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগটি তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মৎস্য কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন নির্বাহী কর্মকর্তা। কিন্তু এ ব্যাপারে ব্যবস্থা না নেওয়ায় পুনরায় এ বছরও নতুন করে বেড়া দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে পাটনা গ্রামে গেলে বেড়া দিয়ে মাছ শিকার করতে দেখা গেছে। বেড়া থেকে প্রায় ১০ হাত দূরে একটি ব্রিজ রয়েছে। নদীতে বেড়া দেওয়ার কারণে ব্রিজের একপাশে ভাঙন ধরেছে।
অভিযোগের বিষয়ে সইব আলী বেড়া দিয়ে মাছ শিকারের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, কেদই মিয়া ও সুজন বিশ্বাস খাঁটি দিয়ে মাছ শিকার করছেন। মাছ শিকারে তার কোনো সম্পৃক্ততা নাই। তবে সুজন বিশ্বাস নদীতে বেড়া দিয়ে মাছ শিকারের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সব জায়গায় তো খাঁটি দিয়া মাছ মাররা। আমরা দিলে সমস্যা কই (কোথায়)। নদীতে বেড়া দিয়ে মাছ শিকার অবৈধ জেনে তিনি বলেন, গরিব মানুষ আমরা, মাছ না মারলে খাইতাম কিলা।
এ ব্যাপারে মৎস কর্মকর্তা আবু ইউসুফ জানান, গত বছর অভিযোগ পাওয়ার পর খাঁটি তুলে দেওয়া হয়েছিল। শুনেছি এবারও খাঁটি দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। তদন্তসাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।