সুনামগঞ্জে কৃষকদের হাহাকার : দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত সুনামগঞ্জ জেলা। গত প্রায় একমাসে ধরে একের পর এক প্রাকৃতিক দূর্যোগে সর্বশান্ত হয়ে পড়ছেন জেলার প্রায় ২০ লাখ অধিবাসী। বছরের একমাত্র ফসল বোরোর ব্যাপক ক্ষতিতে চরম বিপদে পড়েছেন লাখ লাখ কৃষক ও গৃহস্থ পরিবার। আগামী বোরো মৌসুমের আগ পর্যন্ত কঠিন জীবন সংগ্রামে লিপ্ত থাকতে হবে তাদের। এমতাবস্থায় সুনামগঞ্জকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবি ওঠেছে জোরেশোরে।
চলতি বোরো মৌসুমের শুরুতে সুনামগঞ্জে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফসলের উৎপাদন বিগত কয়েক বছরের তুলনায় ভালো হয়েছিল। কিন্তু বোরো ধান যখন পেকে আসছে, ঠিক সেই সময় টানা বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি আর ঝড়-তুফানের কবলে পড়ে তলিয়ে যায় কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। এদিকে পাহাড়ি ঢলে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন হাওর রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে যায় হাওরগুলো। এতে করে চরম দুঃসময়ের মধ্যে পতিত হয়েছেন সুনামগঞ্জের লাখ লাখ কৃষক।
এদিকে শুধু বোরো ফসলই নয়, ঝড়-তুফানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার অসংখ্য ঘরবাড়িরও। ফসলের সাথে সাথে ঘরবাড়ির ক্ষতি সাধিত হওয়ায় চরমভাবে বিপর্যস্ত সুনামগঞ্জের কৃষক-গৃহস্থরা।
এদিকে পাউবো ও কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর ক্ষতির যে হিসেব দিচ্ছে, তার সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। তারা বলছে, ২০-৩০ ভাগ ফসলের ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত হিসেব হচ্ছে, পুরো জেলার প্রায় ৭০ ভাগ ফসলের ক্ষতি হয়েছে। শনির হাওর রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে ওই হাওরেই প্রায় ২৫০ কোটি টাকার বোরো ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে সুনামগঞ্জকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবি ওঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। সুনামগঞ্জের স্থানীয় সাংসদ পীর ফজলুর রহমান মিছবাহ, জেলা আ.লীগের সভাপতি মতিউর রহমান, সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খায়রুল হুদা চপল, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক লতিফুর রহমান রাজুসহ বিভিন্ন ব্যক্তি, সংগঠন এ দাবি জানাচ্ছেন।