চৌহাট্টায় অপহরণ চেষ্টা, অপহরনকারীকে গণপিটুনি
ডেস্ক রিপোর্টঃ নগরীর চৌহাট্টায় দিনদুপুরে এক ইন্সুরেন্স কর্মীকে অপহরণকালে এক অপহরণকারীকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেছে জনতা। তার কাছ থেকে একটি খেলনার পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে নগরীর চৌহাট্টা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় চারজনকে আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে।
আটক খন্দকার মেহেদী জামান সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার আনোয়ারপুর গ্রামের খন্দকার সুরুজ্জামানের ছেলে। বর্তমানে সে সিলেট নগরীর শামীমাবাদ আবাসিক এলাকার হিলভিউ ২০২ নম্বর বাসায় বসবাস করছেন।
মামলা এজহারে উল্লেখ করা হয়- সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বারখলা গ্রামের মৃত আবদুল কাশেমের ছেলে প্রাইম ইন্সুরেন্স কোম্পানির কর্মী আবদুল হান্নান জুয়েল মোটর সাইকেলযোগে চৌহাট্টার দিকে আসছিলেন। আলীয়া মাদরাসা মাঠের পশ্চিম পাশে সিটি হাসপাতালের সামনে আসার পর পেছন থেকে আরেকটি মোটর সাইকেল দিয়ে তাকে ধাক্কা দেন খন্দকার মেহেদী জামান।
জুয়েল মাটিতে পড়ে গেলে জামান তাকে কিলঘুষি মারতে থাকেন। এসময় জামানের সহযোগী লিমন, জামিল ও অপর এক যুবক এসে তাকে একটি অটোরিকশায় তুলে অপহরণের চেষ্টা চালায়।
অটোরিকশাটি চৌহাট্টা এলাকায় আসলে জুয়েলের শোরচিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে জুয়েলকে রেখে অটোরিকশাযোগে তিন অপহরণকারী পালিয়ে যায়। এসময় জনতা মোটর সাইকেলসহ খন্দকার মেহেদী জামানকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
সিলেট কোতোয়ালী থানার ওসি সুহেল আহমদ গণমাধ্যমকে জানান- অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আবদুল হান্নান জুয়েল আবদুল হান্নান জুয়েল বাদি হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।