দোয়ারায় কালবৈশাখীতে বিধ্বস্ত অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি

4kst-2-bnb-600x400-dbed806639ebca4e7f1f70feba9664e6ac211710দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাবাজার উপজেলায় রোববার ও সোমবার সকালে কয়েক দফায় ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে অসংখ্য গাছপালা ও বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। বিধ্বস্ত হয়েছে অর্ধ-শতাধিক ঘরবাড়ি।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে রয়েছে সুরমা ইউনিয়নের হাওরপারের টেংরাটিলা, আলীপুর, নূরপুর, সোনাপুর, বৈঠাখাই, হাছন বাহার, লক্ষীপুর ইউনিয়নের বড়কাটা, তেলুরা, এড়ুয়াখাই, পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের আফছরনগর, নতুন কৃষ্ণনগর, পুরান কৃষ্ণনগর,পলিরচর, রাধানগর, জলসিসহ বিভিন্ন গ্রাম। এসব গ্রামের কাঁচা ঘর-বাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত অনেক পরিবারের সদস্যরা ইতোমধ্যে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। টানা শিলাবৃষ্টিতে পান্ডারগাঁও ও সুরমা ইউনিয়নের হাওরের বোরো ধানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফসল রক্ষা বাঁধগুলো ভেঙে যাওয়ায় পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে উপজেলার অনেক হাওরে থাকা পাকা ধান।
দোয়ারা সদর ইউনিয়নের নাইন্দার হাওর, লাচবাঘা, পেউক্কা, ঘনিউড়া ও পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের পলিরচর গ্রামের নিকটবর্তী দেখার হাওরের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে হাওরের পাকা ধান তলিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা প্রশাাসন ও স্থানীয় বাসিন্দারা হাওরের ধান রক্ষায় বেড়িবাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছেন।
খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ও বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী (বীর প্রতীক) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। ঘূর্ণিঝড়ে ও শিলাবৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সুরমা ইউনিয়নের হাওরপারের কয়েকটি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা নেয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। তবে এখনো পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে কোনো ধরনের ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা পৌছে দেয়া হয়নি।
সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের আবুল খায়ের জানান, গত কয়েক দিনের কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বসত ঘর ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কয়েকটি গ্রামের অন্তত শতাধিক বসত সম্পূর্ণ রুপে বিধ্বস্ত হয়ে বসাবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কয়েকটি পরিবার প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, উপজেলা প্রশাসন থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ও বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা নেয়া হয়েছে।