ঝিনাইদহে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া সন্তানকে ফিরে পাওয়ার দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন !
ষ্টাফ রিপোর্টার: ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ঈশ্বরবা গ্রাম থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া কলেজ ছাত্র সোহানুর রহমান সোহানকে অক্ষত ভাবে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবী জানানো হয়েছে। রোববার দুপুরে ঝিননাইদহ প্রেসকাবে পরিবারের পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই দাবী করেন তার বাবা মোঃ মহসিন আলী। এ সময় সোহানের মা পারভিনা খাতুন, ছোট দুই ভাই বোম মাসুমা খাতুন ও মাসুম উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তেব্যে মহসিন আলী জানান, গত ১০ এপ্রিল বিকাল ৫টার দিকে আমার বড় ছেলে কালীগঞ্জ নুর আলী কলেজের ছাত্র সোহান ঈশ্বরবা জামতলা নামক স্থানে তার মায়ের জন্য অপেক্ষা করছিলো। এ সময় নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চারজন লোক ইজিবাইকে করে জোরপুর্বক তাকে তুলে নিয়ে যায়। সেই থেকে সোহান নিখোঁজ রয়েছে। লিখিত বক্তব্যে সোহানের বাবা উল্লেখ করেন,
আমার ছেলে কোন রাজনীতি করে না। সোহানের পিতা মহসিন আলী জানান, তার ছেলে সোহানুর ইসলাম শহিদ নুর আলী কলেজের মানবিক বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল। তার বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা নেই। ১০ এপ্রিল ঢাকা থেকে তার মা চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার পথে সোহান জামতলা নামকস্থানে মাকে আনতে যায়। এ সময় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অজ্ঞাত কয়েকজন তাকে তুলে নিয়ে যায়। এর পর স্থানীয় পুলিশকে জানানো হলেও তারা তাকে উদ্ধারে কোনো তৎপরতা দেখায়নি। সন্তানকে ফিরে পেতে প্রসাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন সোহানের বাবা। সোহানের পিতা মহসিন আলী আরো বলেন,
আমি প্রতিদিন ছেলের সন্ধানে রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের দারস্থ হয়ে আমি কান্ত হয়ে পড়েছি। সবাই আমাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে। আমার প্রানপ্রিয় ছেলে সোহানের জন্য সোহানের মা ক্রমাগত অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে । ছেলের শোকে আমরা সবাই ই অসুস্থ হয়ে পেড়েছি। সাংবাদিক জাহিদুর রহমান তারিক ও একাধিক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সোহানের বাবা এবং মা তাদের ধারণার কথা উল্লেখ করে বলেন,
হয়তো পুলিশের লোকজন তার ছেলেকে নিয়ে গেছে। এ সময় সোহানের বাবা এবং মা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তারা অক্ষত অবস্থায় সোহানকে তাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জোর দাবী জানান।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সোহান নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই জানিয়ে আসছেন, পুলিশ সোহানকে নিয়ে আসেনি। কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সোহান আরো জানান তার কাছে পরিবারটির পক্ষ থেকে সহায়তা চাওয়া হয়েছে, আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছি।