বিশ্বম্ভরপুরে পরিবেশ বান্ধব কৃষি প্রযুক্তি অবহতিকরণ সভা ও মানববন্ধন

PHOT0875.JPG
PHOT0875.JPG

কামাল হোসেন,তাহিরপুরঃ সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় কৃষকদের অধিকার আদায়ের লক্ষে পরিবেশ বান্ধব কৃষি প্রযুক্তি অবহতিকরণ সভা ও মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কৃষক মৈত্রী (কেকেএম) সংগঠন। বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কৃষক মৈত্রী (কেকেএম)সংগঠনের আয়োজনে ও বাংলাদেশ এম টি সি পি-২ এর সহযোগীতায় গতকাল রবিবার দুপুর অড়াইটার সময় বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার প্রেস কাব সম্মেলন কক্ষে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষক সংগঠনের কৃষক-কৃষানী, সাংবাদিক , সুশিল সমাজ ও এলাকাবাসীর অংশ গ্রহনে ধনপুর ইউনিয়ন সদস্য হেনু মিয়ার সভাপতিত্বে অবহতিকারণ সভায় কীটনাশকের বিকল্প ব্যবহার করে কৃষক, নারী কৃষক এবং সংশ্লীষ্ট কৃষি শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রন বিষয়ক বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এসময় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কৃষক মৈত্রী সংগঠনের সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, কৃষিবিদ শফিকুর রহমান, র্ভাড আর এল পি-৪৩ প্রকল্পের ম্যানাজার মুছলে উদ্দিন লসকর, র্ভাড প্রকল্প অফিসার ইলিয়াছ আহমেদ, কারুল হাসান, সাংবাদিক হাসান বশির, মিয়ারছর কৃষক মৈত্রী সংগঠনের সাবেক সভাপতি মরম আলী, জলিল পুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নান প্রমূখ। সভা শেষে উপজেলা পরিষদের সামনে বিশ্বম্ভরপুর-সুনামগঞ্জ রোডে শতশত জনগনে অংশগ্রহনে এক মানববন্ধনে মিলিত হয়। মানববন্ধন শেষে বক্তারা নি¤œ লিখিত এর ক্ষতিকর ও প্রতিকার তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান খ্যাদ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং দরিদ্র ও অপুষ্টি দূরীকরনের লক্ষ্যমাত্রা পুরনের লক্ষে খ্যাদ উৎপাদনের পরিমান উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বৃদ্ধিও জন্য রাসায়নিক কীটনাশক এবং কৃত্রিম সার ব্যবহারের প্রয়োজন বলে যে প্রচারনা করছে কীটনাশক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গুলো তা বাস্তবিক অর্থে ফসল উৎপাদন বাড়লেও কৃষক ও কৃষি শ্রমিকরা কীটনাশকের সংর্স্পশে আসার ফলে তারা রয়েছে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে । যা নিরাপদ খ্যাদ এবং টেকসই কৃষি উন্নয়নের উপর বিরুপ প্রভাব ফেলছে। এবং তারা আরও বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী পৃথিবীতে প্রতি মিনিটি – থেকে ৩ জন মানুষ ওই বিষাক্রান্ত রাসায়নিক উপাদানের মাধ্যমে আক্রান্ত হচ্ছে। এবং বছওে নূন্যতম ৪০,০০০(চল্লিশ হাজার) মানুষ কীটনাশক জনিত কারনে মার যান ও আরও প্রায় ৩-৪ মিলিয়ন(৩০-৪০) হাজার মানুষ মারাত্মকভাবে বিষাক্রান্ত হন। কৃষিতি আমরা কীটনাশক ব্যবহারের ফলে বাংলাদেশে ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সালের মাধ্যমে ১২টি জেলা থেকে সংগৃহিত ৪৫৪টি নমুনা পরীক্ষ করে ৭৪% নমুনাতেই ক্ষতিকর ডিডিটি পাওয়া যায়। এই ডিডিটি বিশ্বব্যাপী নিষিদ্দ। এবং ২০০৯ সালে ধামরাইয়ে ৩ জন এবং ২০১৩ সালে দিনাজপুরে ১৪ জন শিশুর রহস্য জনক মৃত্যু হয়েছিল খ্যাদ কীটনাশকের ফলে। কৃষিতে এই বিষক্রিয়া কীটনাশকের এবং সংক্রামনের ফলে সৃষ্ট স্বাস্থ্য ঝুঁকি দূরীকরন ও নির্মূলকরনে বাংলাদেশ কেন্দ্রী কৃষক মেত্রী (কেকেএম) সংগঠনের পক্ষ থেকে ১, সমন্বিত উৎপাদন এবং বালাই ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতে অথবা প্রাকৃতিক দ্রব্য দ্বারা উৎপাদিত জৈব-বালাইনাশক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষককে বিশেষ করে নারী কৃষকদের আর্থিক প্রনোদান দেওয়া। ২, আইনসঙ্গতভাবে অনুমোদিত সঠিক মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার করা। ৩, তুলনামূলকভাবে কম কীটনাশক ব্যবহার করা এবং পর্যায়ক্রমে এর ব্যবহার বন্ধ করা। ৪, ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি (পিপিপি) ও কৃষির্কম উপকরন বিনামূল্যে কৃষক এবং কৃষি শ্রমিকদের মাধে বিতরন করা। ৫, উচ্চ মাত্রায় বিষাক্ত বৈশিষ্ট সম্পন্ন রাসায়নিক কীটনাশক আমদানী ও ব্যবহার নিষিদ্দ করা। ৬, কৃষিতে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার উপর আইএলও কনভেনশন ১৮৪ অনুসর্মথন করা এবং আইএলও সুপারিসমালা ১৫২ বাস্তবায়ন করা। ৭, কীটনাশকের প্রয়োগ পদ্ধতি সর্ম্পকে কৃষক ও কৃষি শ্রমিকদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা। ৮ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক এবং কৃষি শ্রমিকদের আর্থিক ক্ষতিপূরন এবং বিনাশূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কৃষি মৈত্রী(কেকেএম) সংগঠন উপওে উল্লেখিত ব্যাবস্থা গ্রহনে বাংলাদেশ সরকারে কাছে জোরদাবী জানান।