নগরীতে স্কুল শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার : হত্যার অভিযোগ পরিবারের, স্বামী আটক
ডেস্ক রিপোর্টঃ স্কুল শিক্ষিকা কণিকা কর (২৮) কে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তাঁর পরিবার। গত শুক্রবার বিকেলে শামীমাবাদ পিডিবি স্কুলের পার্শ্ববর্তী ৪ নং বাসা কনিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
কনিকা সিলেট সদর উপজেলার চাতল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
কনিকার ভাইয়ের দাবি, স্বামী, শশুর ও দেবর শারিরীক নির্যাতন করে কনিকাকে হত্যা করেছেন। পুলিশ এ ঘটনায় কনিকার স্বামী সুমন দাসকে আটক করেছে।
নিহতের পরিবারের দাবি, নগরীর শামিমাবাদের বাসিন্দা এনজিও কর্মকর্তা সুমন দাস ও করেরপাড়া এলাকার বাসিন্দা স্কুল শিক্ষিকা কনিকা কর প্রায় পনের মাস পূর্বে ভালোবেসে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পরেই শশুর বাড়ির লোকেরা বিভিন্ন সময়ে নগদ টাকা দাবী করতো কনিকার কাছে। কনিকা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে শারিরীক ভাবে তাকে নির্যাতন করতো নিয়মিত। অব্যাহত নির্যাতনের বিষয়টি কনিকা তার বাবার বাড়ির লোকদের জানালে বেশ কয়েকবার পারিবারিক ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করা হয় বলে গণমাধ্যমকে জানান কনিকার ভাই মলয় কর।
মলয় জানান, শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে কনিকা মুঠোফোনে তাঁর বাবা মায়ের কাছে শারিরিক নির্যাতনের কথা জানান। এসময়ে কনিকা শশুর বাড়ির নির্যাতন থেকে বাঁচানোর জন্য বাবা-মাকে অনুরোধ করে।
এ খবর পেয়ে কনিকার বাবার বাড়ির লোকজন শামিমাবাদে সুমনের বাসায় গেলে স্বামীর বাড়িরলোকেরা কনিকা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে তাদেরকে জানায়।
বিকেল ৪টার দিকে স্কুল শিক্ষিকা কনিকাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার কনিকাকে মৃত ঘোষণা করে।
কনিকাকে হাসপাতালে নেয়ার পর সেখানে তার স্বামী সুমন দাস পৌছালে সেখানে থাকা পুলিশ সুমনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার রাত ১০ নগরীর চালিবন্দরস্থ শ্মশানঘাটে কনিকা দাসের অন্তোষ্ঠিক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
এ ঘটনায় কনিকার ভাই মলয় কর বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় একটা হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এতে কনিকার স্বামী সুমনসহ পরিবারের ৩ জনকে আসামী করা হয়েছে।