বর্ষবরণ উৎসবে মুখর ছিল সিলেট

20059ডেস্ক রিপোর্টঃ বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিতে ভোর হতেই নতুন সাজে সেজেছে সিলেট। নানান বয়সের মানুষ রঙিন পোশাকে খুব সকাল থেকেই সিলেটের বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টা তিনেক আগেও প্রচণ্ড বৃষ্টি বাদল দমাতে পারেনি তারুণ্যের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসকে। সকালে নগরীতে সিটি কর্পোরেশন ও সংস্কৃতিকর্মীদের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রায় শুরু হয় এই আয়োজন।
বাঙালি জাতিকে আত্মপরিচয়ে আগ্রহী করে তুলতে নববর্ষ প্রেরণা যোগায়। উৎসাহ আর সাহস যোগায় নতুন করে পথ চলায়। তাই তো কোন রক্ত চক্ষু দমাতে পারে না। এই অদম্য হাজারো মানুষের সব রাস্তা যেন এসে মিলিত হয়েছে সিলেটের বর্ষবরণের বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থলে।
শ্রীহট্ট সংস্কৃত কলেজে প্রতিবছরের মত এবারও ঐতিহ্যবাহী সংগঠন আনন্দলোক সিলেটের আয়োজনে সমবেত হয়েছেন হাজারো দর্শক। সকাল ৮ টায় এসো হে বৈশাখ গানের মাধ্যমে শুরু হয় আনন্দলোকের অনুষ্ঠান। এরপর একে একে মঞ্চে পরিবেশনা নিয়ে আসে গীত বিতান বাংলাদেশ, বাংলাদেশ রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সংস্থা, সুরাঞ্জলী, জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ, দ্বৈতস্বর, তারুণ্য, সিলেট আর্ট এন্ড কালচার একাডেমী, নৃত্যশৈলী। একক গান পরিবেশনায় ছিলেন শিল্পী লাভলী দেব ও শামীম আহমদ।
বাংলা নতুন বছরকে বরণ করতে নগরীর ব্লু বার্ড স্কুল ও কলেজ প্রাঙ্গণে জমজমাট আয়োজন করে শ্রুতি সিলেট।
বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৭টায় মঙ্গল ঢাকের আহবানে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় সংগঠনটি। এসময় সপ্ত সুরের আহবানে বিদায় জানানো হয় গেল বছরটিকে। শতশত কণ্ঠে গাওয়া হয় নতুন বছরের আবাহন বার্তা। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিজন ভবতোষ বর্মণ রানা। শ্রুতির উৎসব অঙ্গনে আয়োজিত বৈশাখী মেলায় অংশ নেয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
শ্রুতি বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়, শ্রুতি সিলেট, জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ, সংগীত পরিষদ, গীত বিতান বাংলাদেশ, দ্বৈতস্বর, রেডিও এনাউন্সার ক্লাব, নৃত্যাশ্রম, চারুবাক, শিকড় শাবিপ্রবি, ছন্দনৃত্যালয়, মৃত্তিকায় মহাকাল, দ্বৈতস্বর, সুরের ভূবন, নৃত্যাশ্রম, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, নাট্যম সংগীত বিদ্যালয়, মুক্তাক্ষর, নৃত্যযোগ, নৃত্যরঙ্গ, বকুলতলা, সিটি মডেল স্কুল। এছাড়া নগরীর প্রায় সবকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলছে বর্ষবরণ উৎসব।