বিদ্যুৎ বিপর্যয়: গোলাপগঞ্জে ডাইরেক্ট এ্যাকশন শ্লোগানে বিক্ষোভ!

942872_193844621001638_36058008822827795_nনোমান মাহফুজ, গোলাপগঞ্জ: এ্যাকশন এ্যাকশন, ডাইরেক্ট এ্যাকশন, শ্লোগানে মুখরিত ছিল গোলাপগঞ্জ কদমতলী পয়েন্ট।পল্লী বিদ্যুৎ-১গোলাপগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম সহ উর্ধবতন কর্মকর্তার প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। বুধবার বেলা ১২ টার দিকে গোলাপগঞ্জ উপজেলা সদরের কদমতলী পয়েন্টে পল্লী বিদ্যুৎ এর বর্তমান অবস্থার প্রতিবাদ জানিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এ সময় সিলেট জকিগঞ্জ রোডে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। সিলেট জকিগঞ্জ মহা সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে গোলাপগঞ্জ থানার অফিসার (তদন্ত) কামাল আহমদ ও মুকতাদির আহমদ যানবাহন চলাচল করতে চেস্টা করলে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েন,পরে সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ পরিচালনা বোর্ডের সচিব সাংবাদিক আব্দুল আহাদ, গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি একে এম ফজলুল হক শীবলি, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার রুহিন আহমদ খান এসে বৃহঃবারের মধ্যে বিদ্যুৎ দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিলে তারা সিলেট জকিগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়। গোলাপগঞ্জে ঘনঘন লোডশেডিং এর কারণে বিশেষ করে বিপাকে পড়তে হচ্ছে এইচ এস সি পরিক্ষার্থীদের। ঘন ঘন লোডশেডিং, বিদ্যুত লাইন মেরামতে অবহেলা, কোন কোন এলাকায় ৯/১০ দিন থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকা ইত্যাদির অভিযোগে গোলাপগঞ্জ পল্লী বিদুৎ এর ডিজিএমকে প্রত্যাহারের দাবীতে উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউপির আওতাধীন বেশ কয়েকটি গ্রামের গ্রাহকদের উপস্থিতিতে কদমতলী পয়েন্টে এ বিক্ষোভ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়।জানা যায়, প্রায় ১০ দিন থেকে লক্ষণাবন্দ ইউপির লক্ষীপাশা, লক্ষণাবন্দ,নিশ্চিন্ত সহ বেশ কয়কটি এলাকা বিদ্যুত বিহীন রয়েছে। এক এলাকার সমস্যায় অন্তত আরো ১০ এলাকা অন্ধকারে থাকতে হয়। দিনের বেলায় তো আছেই তার সঙ্গে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই শুরু হয়ে যায় লোডশেডিং। যার ফলে ব্যাহত হচ্ছে জনজীবন। বিদ্যুতের অতিরিক্ত লুকোচুরিতে রাতের আঁধারে লেখাপড়ায় মারাত্নক ঝুঁকিতে পড়ছেন এবারের এইচ এস সি ও আলিম পরিক্ষার্থীরা। মোমবাতি কিংবা হারিকেনের আলোতে কোন রকম নিজেদের পরিক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ ছাড়া উপায় নেই তাদের। বিদ্যুতের আসা যাওয়ার খেলায় বাড়ি,ব্যবসা, মার্কেট,শিক্ষা প্রতিষ্টানের কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। বাড়িতে পানি সংকটে পড়ছেন মানুষজন। ফ্রিজ, টিভি,মোবাইল ফোন, চার্জার লাইট সহ ইলেকট্রিক মালামাল নিয়ে পড়ছেন বিপাকে। অনেকের ফ্রিজ টিভি বিকল হয়ে পড়েছে বিদ্যুতের মাঝে মধ্যে আসা যাওয়ার খেলায়! ফ্রিজে রাখা খাদ্য সামগ্রী পঁচে নষ্ট হচ্ছে। তবুও চলছে বিদ্যুতের আসার কোন খবর নাই।যদি কোন কারনে সামান্য প্রাকৃতিক সমস্য হয় বা বিস্টি হয় তা হলে ৮ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ থাকেনা। দিবারাত্রী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৮ ঘন্টাই বিদ্যুতহীন থাকতে হচ্ছে গ্রাহকদের । তবে বিশেষ করে পল্লী অঞ্চলের মানুষদের ভুগান্তির শিকার হতে হচ্ছে বেশী। বিদ্যুতহীনতার কারণে প্রয়োজনে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে হচ্ছে অনেককে। এদিকে পল্লী বিদ্যুতের অভিযোগ কেন্দ্রের মোবাইল নাম্বারটি ২৪ ঘন্টার ২০ ঘন্টাই থাকে ব্যস্থ। আর ডিজিএম’র নাম্বারে যোগাযোগ করলেও ফোন রিসিভ হয় না বলে অনেকের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যুত লাইনে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে নিরুপায় হয়ে থাকতে হয় পল্লী অঞ্চলের গ্রাহকদের। অভিযোগ কেন্দ্রে যোগাযোগ করা হলে তাদের মিথ্যে আশ্বাসেই সন্তুষ্ট থাকা ছাড়া কোন উপায় নেই গ্রাহকদের। অভিযোগ রয়েছে পল্লী বিদ্যুতের অধিকাংশ লাইনম্যান কর্মচারী আর্থিক সুবিধা ভোগের দিকে মুখিয়ে থাকেন। কোন এলাকা থেকে টাকার বিনিময়ে কাজের আশ্বাস দিলে অধিক সময়ের কাজ অল্প সময়ে করে দেয়া হয়। আর এদিকে লোকবল সংকটের কারণে কাজে ব্যাঘাত ঘটছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে গোলাপগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম সুজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, আমরা তাদের সমস্যা জেনেছি। শীঘ্রই সমাধান করবো।