নির্বাচনী প্রচারণায় শতাব্দী-মৌসুমী!
বিনোদন ডেস্ক: পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানা একটি মফস্বল শহর। এই শহরের নীতি নির্ধারক কামাল পাশা যার নিয়ন্ত্রনে চলে এই শহর। এই শহরের মাঝে গড়ে উঠেছে ছোট্ট একটি যৌন পল্লী। আর এই পল্লীর সরর্দানী সায়রা বানু। তার মেয়ে লতিকাকে নিয়ে সায়রা বানুর বসবাস। সায়রা বানু লতিকাকে যৌন কাজে লিপ্ত করতো না। সে লতিকাকে পড়ালেখা করাতো। কিন্তু হঠাৎ একদিন লতিকা কামাল পাশার নজরে পরে। ভাল লেগে যায় কামাল পাশার।
কামাল পাশার ভাল লাগা কাল হয়ে দাড়ায় লতিকার জীবনে। সায়রা বানু যৌন পল্লী রক্ষার্থে লতিকাকে তুলে দিতে বাধ্য হন কামাল পাশার হাতে। কামাল পাশা দেহরক্ষীতা হিসেবে লতিকাকে তার পটুয়াখালীর বাসায় রাখেন এবং স্কুলে ভর্তি করান। কিছু দিন পর লতিকার সাথে পরিচয় হয় অপুর সাথে। আস্তে আস্তে করে গড়ে উঠে অপুর সাথে লতিকার গভীর ভালোবাসা। লতিকা ভুলে যায় দেহরক্ষীতার জীবন এবং ভুলে যেতে চায় কামাল পাশা নামক তার জীবনের অভিশাপকে। একদিন হঠাৎ করে কামাল পাশা জানতে পারে লতিকা ও অপুর ভালোবাপার কথা এবং লতিকা ও অপুর ভালোবাসার ইতি ঘটে।
অবশেষে কামাল পাশা অপুকে বাধ্য করে এলাকা ছাড়তে। লতিকা কিছুতেই মানতে পারে না তার ভালোবাসার পতন। কামাল পাশার গন্ডির মধ্যে থেকে পরিবর্তন করবে নিজেকে ! কয়েক বছর পর লতিকা গলাচিপা উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হয়। সব কিছুই হয় কামাল পাশার মাধ্যমে। আস্তে আস্তে এলাকায় জনপ্রিয় মুখ উঠে লতিকা। ধীরে ধীরে কামাল পাশার বিপরীতে যেতে থাকে লতিকা।
হঠাৎ করে লতিকার জীবনে আবারও আগমন ঘটে অপুর। কিন্তু সেটা ক্ষণিকের জন্য। ভাগ্যের পরিহাসকে মেনে নিতে হয় দু’জনকে। এরপর কামাল পাশার বিপরীতে মেয়র নির্বাচন করে লতিকা। অবশেষে পতন হয় কামাল পাশার। এভাবেই নাটকের গল্প বিভিন্ন দিকে মোড় নেয়। এমনই এক গল্পে নির্মিত হয়েছে টেলিছবি ‘বিবর্তন’। এটি রচনা করেছেন সকাল আহমেদ রাজু এবং কাহিনী ও পরিচালনা করেছেন মোহন আহমেদ। শতাব্দী ওয়াদুদ ও মৌসুমী হামিদ ছাড়াও নাটকটিতে আরও অনেকেই অভিনয় করেছেন। ‘এন টু’ ফ্যাশন হাউজ এর প্রযোজনায় টেলিছবিটি খুব শিগগিরই প্রচার হবে একটি বেসরকারী চ্যানেলে।