শয্যাশায়ী মা এখনো ছেলে ফেরার অপেক্ষায়
স্টাফ রিপোর্টার :: নাজিমুউদ্দিন সামাদ (২৬) সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের টোকা ভড়াউট গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে।
৫ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে নাজিম চতুর্থ। বড় ভাই জুলহাস উদ্দিন ও বাবা আব্দুস সামাদ আগেই মারা গেছে। তাঁর বড় ভাই শামীম উদ্দিন ও ছোট ভাই জসিম উদ্দিন থাকেন লন্ডনে। আর মেঝভাই সুনাম উদ্দিন থাকেন ফ্রান্সে। বড় বোন পারুল বেগম বিবাহিত। ছোট বোন ও মা তইরুন্নেছাকে নিয়েই দেশে পরিবার ছিল সামাদের।
পরিবার সূত্র থেকে জানা গেছে তাঁর এক লন্ডন প্রবাসী চাচাত ভাই বদরুল ইসলাম ঢাকায় ফিরে লাশ নিয়ে গ্রামে আসার ব্যবস্থা করবেন।
মেধাবী নাজিম আসিরগঞ্জ দিশারী ফ্রি ক্যাডেট স্কুল থেকে প্রাইমারি, আসিরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং সিলেটের স্কলার্স হোম স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন নাজিম। পরবর্তীতে তিনি সিলেট লিডিং ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবি অনার্স পাস করে ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বর্তমানে তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ষষ্ঠ ব্যাচের সান্ধ্যকালীন সেকশনের শিক্ষার্থী ছিলেন।
মা শয্যাশায়ী হয়ে এখনো ছেলের ফেরার অপেক্ষায়। শোকাহত পরিবারের প্রায় প্রতিটি সদস্যেই বাকরুদ্ধ।
প্রসঙ্গত, (৬ এপ্রিল) বুধবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর সূত্রাপুরস্থ একরামপুর মোড়ে নাজিমউদ্দিনকে কুপিয়ে ও মাথায় গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।