মদ না পেয়ে সাবান খাচ্ছে মাতালরা!
ডেস্ক রিপোর্টঃ মাতলামি বন্ধে মদে নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু সাধে কী আর বলে, মদের নেশা সর্বনাশা। তাই বিহার মদকে ছাড়তে চাইলেও মদ বিহারকে ছাড়ছে না। এক সপ্তাহেই উলটপালট হওয়ার উপক্রম পুরো বিহার।
গত ১ এপ্রিল প্রথমে দেশি মদ নিষিদ্ধ হয় বিহারে। বুধবার (৬ এপ্রিল) থেকে বিদেশি মদও নিষিদ্ধ হয়েছে। এর একটা ধাক্কা যে আসবেই তা জানাই ছিল। সেই প্রস্তুতিতে জেলায় জেলায় নেশা ছাড়ানোর জন্য বিশেষ কেন্দ্রও খোলা হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু মদ না পেয়ে যে মাতলামি আরও বেড়ে যাবে তা বোধহয় বিহার প্রশাসনের হর্তাকর্তারাও আন্দাজ করতে পারেননি।
এ যেন ঠিক পানি থেকে জ্যান্ত মাছ তুলে ডাঙায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। নেশা কী আর নিষেধাজ্ঞা মানে? তাই সাধের নেশা না পেয়ে অনেকেই ইতিমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মদের অভাবে একজন সাবান খেয়ে নিচ্ছেন, এমন ছবিও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে দেখা গেছে। কেউ কেউ নাকি কাগজও খেয়ে ফেলছেন। চোখের সামনে হয়তো মরীচিকার মতো মদই দেখছেন সদ্যপ্রাক্তন মাতালরা। অনেকেই তাই নিজের বাড়ির লোকজনকেও চিনতে পারছেন না।
শুধু সরকারি নেশা ছাড়ানো কেন্দ্রগুলিতেই অসুস্থ হয়ে প্রায় সাড়ে সাতশো জন চিকিৎসা করাতে এসেছেন। বাধ্য হয়ে জেলার সমস্ত সরকারি হাসপাতালে তড়িঘড়ি নেশা ছাড়ানোর বিশেষ কেন্দ্র চালু করছে বিহার সরকার। এমনকী, এই কেন্দ্রগুলিতে ১০ থেকে ২০টি বেডও তৈরি রাখার চেষ্টা চলছে সরকারি তরফে।
অদিকাংশ মদ-প্রেমীরাই যখন শোকে-দুঃখে মূহ্যমান তখন কেউ কেউ আবার আইনি পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মদ নিষিদ্ধ করার পক্ষে সরকারের এমন ‘অনৈতিক’ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে ইতিমধ্যেই পাটনা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।