তনু হত্যার বিচার চাইলেন তাসকিন
ডেস্ক রিপোর্ট :: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী, নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু (১৯) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পেসার তাসকিন আহমেদ।
বুধবার (২৩ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক ফ্যান পেজে ‘তনু হত্যার বিচার চাই’ লেখা সম্বলিত একটি ছবি আপলোড করেন তাসকিন।
ছবির ক্যাপশনে তিনি এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন। ইংরেজিতে তিনি লেখেন, ‘ইট’স ফিল রিয়েলি স্যাড’।
গত ২০ মার্চ রাতে ময়নামতি সেনানিবাসের অলিপুর এলাকার একটি কালভার্টের কাছ থেকে পুলিশ উদ্ধার করে তনুর মরদেহ। পুলিশ বলেছে, তনুকে ধর্ষণ করার পর হত্যা করা হয়েছে।
তনুর এই মৃত্যু কিছুতেই মানতে পারছেন না কেউ। প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছে গোটা দেশ। চলছে নানা কর্মসূচি। একইভাবে ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মধ্যম ফেসবুকেও।
তনু কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বাসিন্দা ইয়ার হোসেনের মেয়ে। তনুর বাবা ময়নামতি সেনানিবাস এলাকায় অলিপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। সেই সুবাদে তনুরা অনেক দিন ধরেই অলিপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে তনু মেজ। পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে তনু পড়াশোনার পাশাপাশি বাসার কাছে অলিপুর গ্রামেই এক বাসায় টিউশনি করে লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে আসছিলেন।
ঘটনার দিন (২০ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে প্রতিদিনের মতো তনু ঘর থেকে বের হন। বাসায় ফিরতে দেরি হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে। কিন্তু চেষ্টা ব্যর্থ হলে যে বাসায় টিউশনি করতেন সেখানে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ওই বাসা থেকে তিনি বের হয়ে গেছেন।
খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ময়নামতি সেনানিবাসের অভ্যন্তরে পাওয়ার হাউসের পানির ট্যাংক সংলগ্ন স্থানে তনুর মৃতদেহ পাওয়া যায়। গলাকাটা মৃতদেহ নগ্ন অবস্থায় কালভার্টের পাশে ঝোপঝাড়ের ভেতর পড়েছিল। নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল। মোবাইল ফোনটিও পড়েছিল পাশে।