দুর্ঘটনার ৮দিন পর পুলিশের সাধারন মামলা
স্টাফ রিপোর্টার :: নগরীর ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই সড়কে গত ১১ মার্চ বেলা পৌনে ৩টায় একটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। বনফুল অ্যান্ড কোম্পানির একটি পিকআপের (সিলেট-ম-৫১-০০৯২) সঙ্গে একটি মোটরসাইকেলের (বি.বাড়িয়া-হ-০২-০০১৪) ধাক্কা লাগে। এতে মোটরসাইকেলের আরোহী মিনার হোসেন আহত হন। তাৎক্ষণিক তাঁকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর পুলিশ এসে পিকআপ ও মোটরসাইকেল জব্দ করে।
দুর্ঘটনার পর মোটরসাইকেল আরোহী মিনার হোসেন বা তাঁর পক্ষের কেউ থানায় মামলা দায়ের করেননি। পুলিশও ছিল নীরব। কিন্তু ঘটনার ৮দিন পর নগরীর আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. জহিরুল ইসলাম গত শনিবার রাতে এয়ারপোর্ট থানায় বাদি হয়ে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজহারে দুর্ঘটনার জন্য পিকআপ চালককে এককভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ইয়াসিন খানের সঙ্গে মোবাইলফোনে আলাপ করলে তিনি বিলম্বে মামলা দায়েরের কারণ প্রসঙ্গে বলেন, ঘটনার পর উভয়পক্ষ যাতে আপস করে নেয় সে অপেক্ষা করা হয়েছিল। অপস না করায় পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করেছে। মোটরসাইকেলের কাগজপত্র ও ফিটনেস আছে কি না এবং আরোহীর ড্রাইভিং লাইসেন্স ও তাঁর মাথায় হেলমেট ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব খোঁজ করার সময় মেলেনি। কারণ আরোহী এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মোটরসাইকেলটি আরোহীর ভগ্নীপতির এবং আরোহীর ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই জানালে তিনি বলেন, আমিও এরকম শুনেছি। তিনি বলেন, এটি একটি সাধারণ মামলা। উভয়পক্ষ চাইলে সহজেই আপস করে নিতে পারে।