জন্মদিনেও বিষন্ন বঙ্গবন্ধু
অহী আলম রেজা :: ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন। নেতাকর্মী ও সাধারন মানূষ ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভিড় জমান। বাংলার অবিসংবাদিত নেতার জন্মদিনে জনগণ তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাতে গেলে দেখা গেল নেতার চোখে মুখে বিষন্নতার ছাপ। সহজ হতে পারছেননা কিছুতেই। তিনি জনতাকে জন্মদিন পালনের চেয়ে ওই মুহুর্তে ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দেন। তিনি আবারও ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার আহবান জানান। বঙ্গবন্ধু বলেন,আমার জীবন ধন্য। সাড়ে সাত কোটি মানুষ যখন পাহাড়ের মতো আমার এবং আমার দলের পিছনে একতাবদ্ধ হয়েছে তখন আমার চেয়ে সুখী মানুষ আর কে হতে পারে।
ওই দিন বায়তুল মোকাররম মসজিদে আসরের নামাজের পর মাওলানা শেখ মুহাম্মদ ওবায়দুল¬াহ বিন সাঈদ জালালাবাদী বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন। বঙ্গবন্ধু প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সাথে দ্বিতীয় দফা বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠক থেকে বের হয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ইয়াহিয়ার সাথে আলোচনা ফলপ্রসু হয়নি। লক্ষে না পৌঁছা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। বিদেশি সাহায্যের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাদের সাহায্যের কোন প্রয়োজন নেই। যা প্রয়োজন সবই বাংলাদেশের আছে। স্বাধীন দেশে স্বাধীন নাগরিক হিসেবে বেঁচে থাকার অধিকার আমাদের রয়েছে।
এ দিন মওলানা ভাসানী চট্রগ্রামে এক জনসভায় বলেন, স্বাধীনতা লাভের জন্য দেশের মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে। ৮৯ বছরের জীবনে জনগণের এমন উৎসাহ ও ঐক্য আর কখনো দেখিনি। দেশের মানুষ একদিন দেশকে শত্র“মুক্ত করবেই। তিনি আওয়ামীলীগের সাহায্য তফবিলে মুক্তহস্তে দান করার জন্য জনতার প্রতি আহবান জানান।
জানা যায়, এদিন লে. জেনানেল টিক্কা খান, মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ও রাও ফরমান আলী ‘অপারেশন সার্চলাইট’ চূড়ান্ত করেন। সেনা সদস্যদের প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয়।