ডেস্ক রিপোর্ট :: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার পোরকরা গ্রামবাসীর সঙ্গে হিজবুত তৌহিদের কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এসময় অন্তত অর্ধশত লোক আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
সোমবার বেলা ১২টা থেকে শুরু হয়ে থেমে থেমে এ সংঘর্ষ এখনো চলছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, হিজবুত তৌহিদের কর্মীরা এলাকায় ইসলাম বিরোধী নানা কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। দুই বছর আগে তারা স্থানীয় লোকজনের বাধার মুখে এলাকাছাড়া হয়। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি চাষির হাটে সমাবেশ করে তারা উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়। এতে লোকজন আরো ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। সে থেকে গত কয়েক দিন পর্যন্ত সংগঠনের বহিরাগতদের এলাকায় আনাগোনা বেড়ে যায়।
এ নিয়ে সোমবার স্থানীয় লোকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দিয়ে আসার সময় চাষির হাটে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সংঘর্ষ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত অর্ধশত লোক আহত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। দুপুরে উত্তেজিত জনতা সংগঠনের এক সমর্থকের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে বলেও জানা যায়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক বছর থেকে পোরকরা গ্রামে হুমায়ুন খান পন্নীর অনুসারী হিজবুত তৌহিদের কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় মুসল্লিদের নানা বিষয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) ইলিয়াস শরিফ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।