৪৩ বছরের বর্ণাঢ্য শিক্ষকতা জীবনের ইতি টানলেন ছাদিক স্যার
মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুছ, গোলাপগঞ্জ :: উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের উত্তর কানিশাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছাদিকুর রহমান একনাগাড়ে ৪৩ বছর একই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শেষে গত ২৬ জানুয়ারি বর্ণাঢ্য শিক্ষকতা জীবনের ইতি টানেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি একজন বিশিষ্ঠ ক্রীড়া সংগঠক ও ছিলেন। উপজেলার সর্বত্র তিনি ছাদিক স্যার হিসেবে সুপরিচিত। তিনি দক্ষিণ কানিশাইল গ্রামের মৃত আব্দুল মতিন মাস্টারের প্রথম পুত্র।
ছাদিক স্যার শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৭২ সালের ১ জানুয়ারি সহকারী শিক্ষক হিসেবে উত্তর কানিশাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেন। এলাকাবাসীর উদ্যোগে নির্মিত উত্তর কানিশাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালিন সময় নিজে টিলা কেটে গ্রামবাসীর সাথে সহযোগিতা করেন। নিজের শ্রম ও ঘাম বিলিয়ে দিয়ে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি সর্বজন স্বীকৃত ও সমাদৃত একজন শিক্ষক। মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি ছিলেন আন্তরিক। তার স্নেহ মমতায় অনেক শিক্ষার্থী জ্ঞানের আলোয় উজ্জ্বীবিত হয়েছে। অনেক পথহারা শিশুকে তিনি পথের সন্ধ্যান দিয়েছেন। অনেক জ্ঞানহীনকে দিয়েছেন জ্ঞানের আলো। নিজ এলাকায় জ্ঞানের আলোকবর্তীকা হিসেবে সকলের কাছে তিনি সুপরিচিত। তার নিরহংকার আর্দশে মুগ্ধ ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসী। তার দৃঢ় প্রত্যয়ী মনোবলে অনেক শিশু অনুপ্রাণীত হয়েছে। তার দায়িত্ববোধ সততা আর আন্তরিকতার জন্য এলাকার অনেক ছাত্রছাত্রী দেশে বিদেশে কর্মরত রয়েছেন।
এব্যাপারে ছাদিক স্যার বলেন শিক্ষকতা এক মহানপেশা। যদি সারা জীবন শিক্ষকতা পেশায় থাকা যেত তাহলে আমি শিক্ষকতা পেশায় থাকতাম। কারণ বিদ্যালয়ের কঁচি শিশুদের সাথে প্রতিদিন মিশতে আমার ভালো লাগতো। তাদের সাথে আনন্দ করে সময় কাটত। অবসর নেওয়ার পর থেকে সময় কাটছে না।