সাবলীল জয় পাকিস্তানের
ডেস্ক রিপোর্ট :: জয়ের স্বাদ নিয়েই দেশে ফিরতে পারছে পাকিস্তান। গুরুত্বহীন খেলায় শুক্রবার তারা টি-২০ বিশ্বকাপের বর্তশান চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে হারালো ৬ উইকেটে। শ্রীলঙ্কার করা ১৫০ রান তারা ৪ বল হাতে থাকতেই টপকে যায়। ওপেনিং জুটি এ খেলাতে ভাল করতে না পারলেও মিডল অর্ডারে সরফরাজ আহমেদ আর উমর আকমলের দাপুটে ব্যাটিং পাকিস্তানের জয় সহজ করে দেয়। তাদের ৩৮ আর ৪৮ রানের সামনে ম্লান হয়ে যায় তিলকারতেœ দিলশানের ৭৫ আর দিনেশ চান্ডিমালের ৫৮ রান। সরফরাজ ২৭ বকলে ৩৮ আর উমর ৩৭ বলে ৪৮ রান করেন। তিনি দুদলের স্কোর যখন সমান তখন ১৯তম ওভারের শেষ বলটি হাঁকাতে যান হাফ সেঞ্চুরি করতে। কিন্তু থিসারা পেরেরার অসারারণ ক্যাাচ তার প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে ফিরিয়ে দেয় সাজঘরে। অবশ্য সাবলীল ব্যাটিংয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কারটা তার হাতেই ওঠে। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে জয় নিশ্চিত করেন শোয়েব মালিক। খেলাটার কোন গুরুত্ব ছিল না প্রতিযোগিতার আলোকে। দুদলই নিশ্চিত হয়েছে ফাইনাল খেলতে না পারার বিষয়টি। এই দুই দলকে হারিয়েই ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণের একটা সুযোগ ছিল এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের এই শেষ খেলায়। বিশ্ব ক্রিকেটের দুই শক্তিধর দুই দলÑটি-২০’র বিশ্বকাপও যাদের হাতে উঠেছে সেই পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা খেলাটাকে আরেকটি বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেয়ার সুযোগ হিসেবেই নেয়। হার-জিতে মর্যাদাহানি বৈ কিছু না হওয়ার এ খেলায় দেখা গেল ব্যাটসম্যানদের খানিকটা ঝলক। বোলারদের দাপটে শেষ হতে যাওয়া এ আসরে দর্শকদের জন্য এটাই বা কম কিসে। শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার বেশ ভালই ব্যাটিং ক্যারিশমা দেখান। দুজনে ফিফটিও করেন। একজন অভিজ্ঞ দিলশান তো শেষ পর্যন্ত অপরাজিতই থাকেন ৭৫ রানে। দিলশান ৫৬ বলে করেছিলেন ৭৪তম টি-২০তে তার দ্বাদশ ফিফটি। কিন্তু অপেক্ষাকৃত ফ্ল্যাট ও ব্যাটিং সহায়ক পিচে তাদের ১৫০ রানের অর্জনটা তেমন বড় বলে প্রমাণ হয়নি। ১৪ ওভারে ১১০ রানের ওপেনিং জুটির পর শেষ ৬ ওভারে মাত্র ৪০ রান যোগ শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং দৈন্য আর পাকিস্তানের বোলিং শক্তির নমুনা দেখায়। শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং দেখেই মনে হয়েছিল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের এ পিচটা আগের খেলাগুলোর চেয়ে একটু ভিন্ন যেখানে ব্যাটসম্যানরা খানিকটা স্বচ্ছন্দে খেলতে পেরেছেন। পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা তারই ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন। এটি ১৫০ রানের লক্ষ্য টপকে তাদের মাত্র সপ্তম জয়।