কাউন্সিলার শানুর পরিবারকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

Shanu-Councelorানshanআমি, শাহানা বেগম সানু, সাবেক মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ১৩, ১৪ ও ১৫নং ওয়ার্ড, সিলেট সিটি কর্পোরেশন, সিলেট। বর্তমানে আমার পরিবারের আমি সহ পরিবারের সব সদস্যের জীবন বিপন্ন। একমাত্র আল্লাহ-ই ভাল জানেন রাষ্ট্রের কার কাছে গেলে আমি ও আমার পরিবারের বাকী সব সদস্যের নিরাপত্তা ও সুবিচার পাবো। (১) ফারুক মিয়া, খুলিয়াপাড়া, (২) সৈয়দ হাফিজ, খুলিয়াপাড়া, উভয়ই প্রবাসী। এরা ২জন বিভিন্ন সময়ে এলাকার নিরীহ মানুষদের অত্যাচার করে এবং গরীব নিরীহ মানুষের জায়গা সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে এবং এলাকার বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। আমার স্বামী তাজুল ইসলাম বিভিন্ন সময়ে তার অপকর্মের ও অত্যাচারের প্রতিবাদ করায় ফারুক মিয়া ও হাফিজ প্রতিশোধ স্বরূপ তার ক্ষমতার দাপট দেখাতে শুরু করে আমার পরিবারের সব সদস্যের উপর। সে ২০১২ সালে তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী গ্রুপ গুলজার, তোফায়ের ও শাকিল বাহিনী দ্বারা আমার স্বামী তাজুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করায়। ঘটনায় আমার স্বামীর পায়ের রগ কেটে যায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার স্বামী বেঁচে গেলেও গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর যখন ফারুক মিয়া ও হাফিজ খবর পায় আমার স্বামী জীবিত আছেন। এতে তাদের আক্রোশ যেন আরোও বেড়ে যায় আমার পরিবারের প্রতি। তারা গুলজার, তোফায়েল ও শাকিল বাহিনী দ্বারা ২৬/০১/২০১৪ইং তারিখে আমার মেঝো ছেলে সোহান ইসলাম (১৭) কে আক্রমণ করে এবং সে নিহত হয় এবং ঐ সময় এলাকার বিতর্কিত ব্যবসায়ী কামাল আহমদের সাথে তাদের ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে গুলজার, তোফায়েল ও শাকিল বাহিনী দ্বারা নিহত করায় এবং আমি সহ আমার স্বামী তাজুল ইসলাম, ভাসুর নুরুল ইসলাম এবং আমার বড় ছেলে রায়হান ইসলামের নামে কামাল হত্যা সহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দায়ের করে। আমার ও আমার স্বামীর নামে ঢাকার পল্টন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা ও ওসমানী নগর থানায় আরও একটি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা সহ অসংখ্য মিথ্যা মামলা দায়ের করে এবং আমার বড় ছেলে রায়হান ইসলামের নামে জামায়াত-শিবিরের মিথ্যা মামলা দায়ের করে যদিও আমার ছেলে রায়হান সিলেট ছাত্রলীগের একজন একনিষ্ট কর্মী এবং আমাদের সবাইকে হুমকি দেয় বাংলাদেশের প্রতিটি থানায় আমাদের নামে মামলা দায়ের করার। ফলে এই সব মিথ্যা মামলায় আমাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়। ফারুক মিয়া ও হাফিজ বর্তমান পুলিশের আই.জি ও সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতি তাদের বন্ধু বলে পরিচয় দেয় এবং এদের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন অপরাধ ও অপকর্ম সংগঠিত করে। যদিও ফারুক মিয়া ও হাফিজ দুইজন সাধারণ দালাল শ্রেণীর লোক হলেও প্রায় সময় দেখা যায় তারা পুলিশের গাড়ী ব্যবহার করে এবং একজন সাব-ইন্সপেক্টর নিয়ে এলাকার মানুষকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। আমার মেঝ ছেলে সোহান ইসলাম হত্যার এবং আমার স্বামী তাজুল ইসলাম হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণের বিরুদ্ধে মামলা করলেও সন্ত্রাসীরা আজ পর্যন্ত গ্রেফতার হয় নাই। সন্ত্রাসীরা শহরে ঘুরে বেড়ায় এবং থানায় পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলে উপরের মহলের চাপ আছে। এই ব্যাপারে মামলার ও/ঙ এর সাথে যোগাযোগ করলে সেও একই উত্তর দেয়। আমি দীর্ঘ ৬ মাস জেল খাটার পর জামিনে বের হয়ে আসলে সে পূণরায় আমাকে হুমকি দেয়া শুরু করে। এরপর আমার ভাসুর নুরুল ইসলাম ও আমার বড় ছেলে দীর্র্ঘ ১ বছর জেল খাটার পর জামিনে মুক্ত হয়ে আসলে ৪/৫ দিনের ভিতর ২০/১২/২০১৫ইং তারিখে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী গুলজার, তোফায়েল ও শাকিল গং দ্বারা বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার চেলে বেঁচে গেলে ও মূমূর্ষ অবস্থায় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এই আক্রমনের ফলে তার হাত পুরোপুরি অকেজো হয়ে যায় এবং তার চোখ দুটি প্রায়ই নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে আমার স্বামী তাজুল ইসলাম জেলে থাকা অবস্থায় গত ১৪ তারিখে সুপ্রীম কোর্টে তার মামলার জামিনের শুনানী ছিল। সে তখন হুমকি দিয়ে বেড়ায যে, প্রধান বিচারপতি তার বন্ধু এবং সে তাকে দিযে আমার স্বামীর জামিন যাতে না হয় সে ব্যবস্থা করবে। এর মধ্যে সে আমার স্বামীর বায়নাকৃত জায়গায় বাহিরের সন্ত্রাসী দ্বারা দখল করে এবং আমাকে হুমকি দেয় আমাদের জায়গা সম্পত্তি তাদের কাছে বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য না হলে সে আমার ও আমার ছোট শিশু ছেলে রেদওয়ান ইসলামের (১০) নামে থানায় জিডি করেছে। যে কোন মূহূর্তে আমাদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠানোর হুমকি দেয় এবং এটাও বলে যে, তোর ছোট ছেলেকেও দুনিয়ায় রাখবো না। আমার স্বামী তাজুল ইসলাম অসুস্থ অবস্থায় দীর্ঘ এক বছরের উপর জেলে আছেন। বিভিন্ন সময়ে তার জামিনের ব্যবস্থা করা হলে ফারুক মিয়া তার অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে বার বার মামলাগুলো উপরের আদালতে স্থগিত করে দেয়। আমি মহামান্য প্রধান বিচারপতি ও আই.জি (পুলিশ) মহোদােয়র উপর পূর্ণআস্থা ও সম্মান রেখে বলছি যে, আপানারা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ফারুক মিয়ার অপকর্মের তদন্তের ব্যবস্থা করেন। যাতে এই দালাল ফারুক মিয়ার কারণে আপনাদের সম্মান হানি না হয়।
আমি একজন অসহায় মা এবং একজন অসহায় স্ত্রী হিসেবে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার পরিবারের অবশিষ্ট সদস্যের নিরাপত্তা ও স্বামীর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জামিনের ব্যবস্থা হয় তার ব্যবস্থা করতে আকুল আবেদন জানাচ্ছি। কারণ আপনি একজন মহিলা হয়ে স্বজন হারানোর ব্যাথা সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারবেন। কারণ আমি এখনও বুঝে উঠতে পারছি না যে কোথায় গেলে আমার পরিবারের অবশিষ্ট সদস্যের জীবনের নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠু বিচার পাবো।