জল ঘোলা করে ভাঙা সংসার জোড়া লাগালেন রুমি

rumiবিনোদন ডেস্কঃ দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন্নেসাকে ডিভোর্স লেটার পাঠানো, ফেসবুকে তার উপর দোষারোপ করে নানান স্ট্যাটাস এবং ভিডিওবার্তা পোস্ট করা, একজনের বিরুদ্ধে আরেকজনের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য সহ নানান নাটকীয় ঘটনার জন্ম দিয়ে অবশেষে আবারও একসঙ্গে বসবাস শুরু করেছেন কণ্ঠশিল্পী আরফিন রুমি ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন্নেসা। জানা গেছে গত শুক্রবার থেকে একসঙ্গে বসবাস করা শুরু করেছেন তারা।
নাটকের শেষ অংশ অবশ্যই সাধুবাদ জানানোর মতো একটি ঘটনা তবে এখন সবার মনে একটি প্রশ্নই ঘুরে ফিরছে, কি প্রয়োজন ছিল এই নাটকের! সংসারে মনোমালিন্য হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে তা কেন ডিভোর্স পর্যন্ত গড়াবে! ডিভোর্স পর্যন্ত গড়ালেও ফেসবুকের মতো একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেন একের বিরুদ্ধে অন্যের ক্ষোভ ঝরবে! বিষয়টির জন্য রুমি যেমন নিজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করলেন ঠিক তেমনি সাধারণ মানুষের কাছে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির অন্য শিল্পীদের ভাবমূর্তিও নষ্ট করেছেন বলে মতামত অনেকের। তবে শেষ পর্যন্ত যে রুমির বোধোদয় হয়েছে, এটাকেই এখন মন্দের ভালো বলে আখ্যায়িত করছেন সবাই।
ডিভোর্স লেটার প্রত্যাহার না করলে রুমির বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে কে জানিয়েছিলেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন্নেসা। আর যদি ডিভোর্স লেটার প্রত্যাহারও করে নেওয়া হয় তবে কেন নানান জায়গায় কামরুন্নেসাকে ছোট করে বক্তব্য দিয়েছেন রুমি এর জবাবদিহিতা রুমিকে সবার সামনে করতে হবে বলেও কে জানিয়েছিলেন কামরুন্নেসা। যদিও শেষ পর্যন্ত এসবের কিছুই ঘটেনি। অনেকটা চুপিসারেই তিনি রুমির ঘরেই নিজের পুরনো ঠিকানা খুঁজে নিয়েছেন। এখন আজীবনের জন্য এই ঠিকানাতেই কামরুন্নেসা যেন থিতু হতে পারেন এমনটাই চাওয়া রুমি ভক্তদের।
প্রসঙ্গত, ৩১ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন্নেসাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন বলে গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানান রুমি। রুমির মায়ের সঙ্গে কামরুন্নেসার খারাপ আচারণ, আমেরিকায় গিয়ে আগের স্বামীর সঙ্গে নিয়মিত মেলামেশা করাসহ আরও অনেক কিছুকে এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এসময় কামরুন্নেসা ছেলে নিয়ে আমেরিকায় অবস্থান করছিলেন। ঘটনার দুদিনের মাথায়ই তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং কেরানীগঞ্জে অবস্থিত নিজের বাবার বাড়িতে ওঠেন। প্রথমে তিনি ডিভোর্সের ব্যাপারটি অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করেন এবং রুমির বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানান।