বাহুবলে এবার যুবসংহতি নেতাকে হত্যার পর লাশ গুম
ডেস্ক রিপোর্টঃ পূর্বশত্রুতার জের ধরে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়ন যুবসংহতির সভাপতি রফিক মিয়াকে হত্যা করে তার লাশ গুম করেছে একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার মিরপুর ইউনিয়ন যুবসংহতির সভাপতি পশ্চিম জয়পুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে রফিক। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রাত ১২টার দিকে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে আর তাকে ঘরে পাওয়া যায়নি।
রাত ২টার দিকে রুমে না পেয়ে খুজাখুঁজির একপর্যায়ে বাড়ির পাশে জমিতে চুপচুপ রক্তের দাগ, তার পরনের গেঞ্জি ও লুঙ্গি দেখতে পায় তার স্বজনরা।
রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় পুলিশ গিয়ে বাড়ির পাশ থেকে রক্তমাখা গেঞ্জি, হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা কুড়াল ও পাশের একটি পুকুর থেকে তার পরনের লুঙ্গি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পাশের ঘরের জাহির মোল্লা নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের ছোট ভাই ছাদিক মিয়া জানান, আমার বাড়ির রাস্তা নিয়ে পাশের ঘরের জাহির মোল্লা ও হাশিম মিয়া সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত তিন মাস আগে বাহুবল-নবীগঞ্জের এমপি এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু আমাদের বাড়িতে আসতে চাইলে বিরোধীয় রাস্তায় এমপিকে আসতে বাধা দেয়া হয়। পরে বাহুবল উপজেলা চেয়াম্যানের মধ্যস্থতায় এমপিকে আমাদের বাড়িতে ঢুকতে দেয় তারা। তার দাবি এরই জের ধরে তার ভাইকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে।
এ ব্যপারে বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বলেন, এই রাস্তা নিয়ে বিরোধীয় বিষয়টি অনেক বার চেষ্টা করেছি মিমাংশা করতে।
বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন জানান, আমি ঘটনাস্থলে আছি, আলামতও জব্দ করেছি, রফিককে খোঁজ করা হচ্ছে, তবে হত্যা না অন্যকিছু এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
তবে সকাল সাড়ে ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্রামের বিভিন্ন জায়গা ও পুকুরে রফিকের লাশ খুঁজছিল পুলিশ।