বাঘা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভোযোগ: তদন্তের সময় পলাতক
গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গোলাপগঞ্জ উপজেলার প্রাকৃতিক সৌন্দয্যের অপূর্ব লীলা ভূমি, সমৃদ্ধ জনপদ বাঘা শত শত বছর ধরে বিশেষ ঐতিহ্য বহন করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মেম্বারদের অবস্থানের বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের ১০ জন সদস্য গত ১৪ ফেব্রুয়ারী উপজেলা
নির্বাহী অফিসারের কাছ বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করে তা সুষ্ট তদন্তের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন।তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসরাফুল আলম খান প্রয়োজনীয় ব্যাবস্তা গ্রহনের আশ্বাস দেন।
তারা তাদের অভিযোগে উল্লেখ করেন চেয়ারম্যান কবির আহমদ কোন নিয়ম নীতি না মেনে ইচ্ছে মত ইউনিয়নের বরাদ্ধের টাকা আত্মসাত করছেন।কোন রেজুলেশন ছাড়াই নিজে সই, স্বাক্ষর দিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেন কাজ না করেই আত্মসাৎ করে
ইউনিয়নবাসীকে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রাখছেন।এছাড়া ভূয়া প্রকল্প তৈরি করে কাজের সমাপ্তি হয়েছে মর্মে কাজগপত্র উপজেলায় সংশ্লিষ্ট বিভাগ গুলোতে জমা দিতে জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিচ্ছেন।অভিযোগ পত্রে ৮টি অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে বলেন প্রকল্পের নামে বরাদ্ধ হলেও কোন কাজ না করে চেয়ারম্যান কবির আহমদ লক্ষ লক্ষ টাকা ইতিমধ্যে আত্মসাৎ করেছেন। এর আলোকে আজ বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসরাফুল আলম খাঁনের পক্ষে পুর্ব নির্ধারিত সময়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরহাদ উদ্দিন ও উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সোলেমান আহমদের নেতৃত্বে দুই সদস্যের দতন্তকারী দল ইউনিয়ন অফিসে উপস্থিত হলে ও চেয়ারম্যান কবির আহমদ উপস্থিত হননি। খোজ নিয়ে জানা যায়, তিনি ব্যক্তিগত কাজে সিলেটে আছেন।তখন তদন্তকারী কর্মকর্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বলেন পুর্বনির্ধারিত সময় জানা সত্যে ও তিনি তদন্তকাজে সহযোগীতা করেন নি। এই বিষয়ে ইউপি সচিব কামরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে অভোযোগকারী সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন এবং সাংবাদিকদের নিকট উল্লেখিত অভিযোগ গুলো প্রকাশ করেন।তদন্তের খবর জানা সত্যে ও চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতি সর্বমহলে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। ১০ জন ইউপি সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার বিষয়টি গোলাপগঞ্জ উপজেলার অন্যতম বৃহৎ জনগোষ্ঠীর এলাকা ১নং বাঘা ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান কবির আহমদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। অভিযোগে স্বাক্ষর দাতা ইউপি সদস্য সেবুল আহমদ, রকিব আলী, কয়েছ আহমদ, ফয়জুর রহমান, হাবিবুর রহমান, মাহতাব উদ্দিন, জাহেদ আহমদ, সুলেমান আলী, শিখা রাণী দেব, জোছনা বেগম।উল্লেখ্য যে ১নং ওয়ার্ডের সদস্য মহির আহমদ দীর্ঘ দিন ধরে বিদেশ রয়েছেন, একমাত্র মহিলা সদস্যা চেয়ারম্যানের পক্ষে রয়েছেন বলে জানা যায়।