সিলেটে পরিবেশ বিধ্বংসী বানিজ্যমেলা : ম্যানেজার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী

BABLU PICডেস্ক রিপোর্টঃ আদালতের নির্দশনা অগ্রাহ্য করে সিলেট নগরীর প্রতিষ্টানবহুল শাহীঈদগাহ এলাকার স্কুল মাঠে আযোজন করা হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ার নামে পরিবেশবিধ্বংসী বানিজ্য মেলা। পাশাপাশি মেলার ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে একাধিক প্রতারনা মামলায় সাজাপ্রপ্ত পলাতক এক আসামীকে। এতে করে এলাকার জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এ ক্ষোভের বিস্ফোরন ঘটে যে কোন সময় সামাজিক বিশৃংখলার জন্ম দিতে পারে। আইনশৃংখলা রক্ষাবাহিনীর নাকের ডগায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী দিয়ে মেলার ম্যানেজম্যান্টে বিস্মিত সিলেটের সচেতন মানুষ।
জানা গেছে, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ড্রাষ্টিজ এ মেলার আয়োজন করে। আগামী ৯মার্চ থেকে এ বানিজ্য মেলা শুরু হওয়ার কথা। বানিজ্য মেলার ম্যানেজমেন্ট-এর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে একাধিক প্রতারনা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী এম এ মঈন খাঁন বাবলুকে। আয়োজকদের প্রচারিত ব্রুশিয়ারে স্টল গ্রহণসহ সব তথ্যের জন্য দন্ডপ্রাপ্ত ওই আসামীর নাম পদবীসহ টেলিফোন এবং ই-মেইল প্রকাশ করা হয়েছে। পলাতক এম এ মঈন খাঁন বাবলু নগরীর প্রভাতী ৮৬, পূর্ব পীরমহলার আব্দুল মতিন এর পুত্র ও বিবিএম এন্ড জে সোসাইটির সভাপতি।
সূত্রে প্রকাশ, সিলেট চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ড্রাষ্টির টাকা আত্মসাত ও প্রতারনার দায়ে ২০১৫সালে এম এ মঈন খাঁন বাবলুর বিরুদ্ধে সিলেটের জুডিশিয়াল আদালতে পৃথক মামলা (নং-১৫৮/১০ ও ১৫৯/১০) হয়। এ দুই মামলায় এম এ মঈন খাঁন বাবলুর বিরুদ্ধে ১০লাখ টাকার ডিগ্রি ও এক বছরের কারাদন্ড হয়। শুধু তাই নয় উক্ত মঈন খান বছর খানিক পূর্বে খান নামের একজন ব্যাক্তির সাথে চেক প্রতারণা করায় পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হয়েছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামী হয়েও মঈন খাঁন বাবলু শুধু প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন না, একটি আন্তর্জাতিক মেলার ম্যানেজারে দায়িত্ব নিয়ে স্টল ভাড়াও গ্রহন করছেন। প্রকাশ্যে কাজ করছেন পুরোদমে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, শাসকদলের এক বড় নেতার শেল্টারে থাকায় মঈন খান বাবলু শুধু প্রকাশ্যে চষে বেড়াচ্ছেন না, পুলিশের গাড়ি চড়েও চলাফেরা করছেন । সচেতন মানুষের আশংকা চেম্বার অব কমার্সের নামে মেলা করে টাকা আত্মসাত করে তা হজম করে বাবলু এবার আবারো মেলার ফাঁদ পেতে ব্যবসায়ীসহ লোকদের সর্বস্বান্ত করার পায়তারা করছেন।
এদিকে শাহী ঈদগাহসহ আশপাশ এলাকার সচেতন মহল ও শিক্ষক শিক্ষাথীদের অভিযোগ,উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অগ্রাহ্য করে সিলেট নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকাধীন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ভূমিতে পরিবেশবিধ্বংসী এ বাণিজ্য মেলা আয়োজন করা হয়েছে। এতে করে শিক্ষা ও চিকিৎসার পরিববেশ বিঘœ ঘটবে। ইতোমধ্যে মেলায় জন্য বাউন্ডারী ও শেড নির্মাণ চলছে। আর এসব কার্যক্রম তদারকি করছেন একাধিক মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি এম এ মঈন খান। বিশাল এলাকা জুড়ে মেলা আয়োজন করায় কাটতে হচ্ছে গাছ-পালা ও টিলা। ফলে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে শিক্ষানুরাগী ও পরিবেশবাদী সচেতন মানুষদের মধ্যে। এলাকাবাসীর মতে মেলাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার সামাজিক পরিবেশও বিনষ্ট হয়ে পড়বে। তাই সাধরন মানুষজন এ মেলা বন্ধে সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বক্তব্য নিতে মেলার আয়োজক কমিটির সভাপতি সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের সাথে মুটোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্টিজ-এর চেয়ারম্যান হাসিন আহমদের সাথে যোগাযোগ করা হলে মঈন খান বাবলু মেলার ম্যানেজার বলে স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, বাবলু প্রকাশ্যে চলাফেরা করছেন,উনি কোন মামলায় পলাতক বা সাজাপ্রাপ্ত কি না এটা আমার জানা নেই।