অক্সফোর্ডশায়ারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে অক্সফোর্ড বাংলা স্কুল ও অক্সফোর্ডশায়ার বাংলাদেশী এসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সভায় বক্তারা বলেছেন, একুশ আমাদের জাতীয়তাবোধের শিক্ষা দিয়েছে। একুশ আমাদের নিয়ে গেছে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে। যার মাধ্যমে আমরা লাভ করেছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। একুশের ওপর ভিত্তি করে রচিত হয়েছে আমাদের সকল জাতীয় গনতান্ত্রিক আন্দোলন।
গত ২১ ফেব্রুয়ারী রোববার দুপুর ২ ঘটিকার সময় অক্সফোর্ডশায়ার বাংলাদেশী এসোসিয়েশন ও অক্সফোর্ড বাংলা স্কুল আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অক্সফোর্ডশায়ার বাংলাদেশী এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও রিগেল কমিউনিটি সেন্টারের চেয়ারম্যান আলী আক্কাস।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন অনুষ্ঠানের উপস্থিত অতিথি, শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।
লেখক ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ব্যানডন সিরাজ ও অক্সফোর্ড বাংলা স্কুলের শিক্ষিকা সায়মা মোনামের যৌথ উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অক্সফোর্ডশায়ার কাউন্সিলের লর্ড মেয়র রেইন হামবারষ্টোন। অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য ও অতিথিদের পরিচয় করিয়ে দেন অক্সফোর্ড বাংলা স্কুলের শিক্ষিকা রওশন জাহান।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এর তাৎপর্য, ইতিহাস এবং শহীদদের আত্মত্যাগ নিয়ে বক্তব্য রাখেন ব্রিস্টল সিটি কাউন্সিলের প্রাক্তন লর্ড মেয়র ফারুক চৌধুরী, আমাদের প্রতিদিনের সম্পাদক ও ইউকে বাংলা অনলাইন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার শাহজাহান, ঢাকাদক্ষিণ ডিগ্রী কলেজের সাবেক এজিএস আব্দুল বাছির, ঢাকাদক্ষিণ ডিগ্রী কলেজের সাবেক জিএস রোমান আহমদ চৌধুরী, বিবিসি রেডিওর সাবেক উপস্থাপক ও প্রয়োজক মারুফ আহমেদ, রিগেল কমিউনিটি সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক ফারনছিস, অক্সফোর্ড মালাইয়ি ক্লাবের চেয়ারম্যান বিজু ডোবাননড, অক্সফোর্ডশায়ার বাংলাদেশী এসোসিয়েশন সাবেক চেয়ারম্যান এম এ মান্নান, কমিউনিটি সংগঠক জাকির আহমদ ও সালেহ আহমদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের বক্তাগণ অক্সফোর্ডশায়ার বাংলা স্কুলের পরিচালকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন,
বৃটেনে ব্যক্তিগত বা সাংগঠনিক উদ্যোগেও গড়ে উঠেছে বিভিন্ন বাংলা স্কুল। শত বাধা-বিপত্তির পরেও এই কমিউনিটিতে অনেক শিশু চর্চা করছে বাংলাদেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিয়ে। আর এর পেছনে কৃতিত্ব তাদের অভিভাবক ও স্কুল পরিচালকদের।
অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে কবিতা আবৃত্তি ও গান পরিবেশন করেন অক্সফোর্ড বাংলা স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। তাদের নাচ গান দর্শকদের মন জয় করে।