বাহুবল ট্র্যাজেডি : ওসি কবুল করলেন
ডেস্ক রিপোর্টঃ সুন্দ্রাটিকি গ্রামের নিখোঁজ চার শিশুকে খুঁজতে ফতেপুর গ্রামের এক কবিরাজের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বাহুবলের ওসি মোশাররফ হোসেন পিপিএম। কবিরাজ জুবায়ের আহমেদ বলেছিলেন, শিশুরা চুনারুঘাট কালেঙ্গা পাহাড়ে রয়েছে। এ খবর পেয়েই ওসি ছুটে যান সেখানে। কিন্তু তন্নতন্ন করেও খুঁজে শিশুদের পাননি তিনি। গতকাল বাহুবল থানা ক্যাম্পাসে ওসি মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তিনি বলেছেন, ওই কবিরাজের কথা অনেক সময় ঠিক হয়। আমি মনে করলাম চেষ্টা করতে অসুবিধা কী? আমার সঙ্গে নিখোঁজ শিশুদের স্বজনরাও ছিলেন। একেবারে ভারতের তারকাঁটা পর্যন্ত গিয়েছি। সেদিন ছিল সোমবার। ৪ শিশু নিখোঁজের দিন শুক্রবার ওসি ছুটিতে ঢাকায় ছিলেন জানিয়ে বলেন, শনিবার দুপুরে বাহুবলে ফিরেই এ খবর এসপি স্যারকে জানাই। তিনি ডিআইজিকে জানান। এ ব্যাপারে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশু শুভর বাবা ওয়াহিদুর রহমান বলেন, পুলিশের অবহেলার কারণে আমাদের চার সন্তানের লাশ দেখতে হয়েছে। শুক্রবার থানায় গেলে পুলিশ জিডি পর্যন্ত নেয়নি। পরদিন শনিবার জিডি নেয়া হলে ওসি আমাদের বাড়িতে আসেন। তিনি আমাদের দোয়া-দুরুদ পড়ার পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে তাবিজ-কবজ করার পরামর্শ দেন। গতকাল হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশুদের বাড়িতে গেলে দেখা যায় নীরব-নিস্তব্ধ। মিলাদ পড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে দেখা হয় হবিগঞ্জ-সিলেটের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর সঙ্গে। পুলিশের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওসি তাবিজ করার কথা বলেছেন, দোয়া-দুরুদ পড়তে বলেছেন এ কথা আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে তাকে আমি ধরেছিলাম। তিনি আমতা আমতা করেছেন। কেয়া চৌধুরী প্রশ্ন রেখে বলেন, যার সন্তান গেছে সে বুঝে তার বুকের যন্ত্রণা কী? এমপি বলেন, প্রশাসন সহযোগিতা করেনি। যদি সহযোগিতা করতো তাহলে অবশ্যই তাদের খুঁজে বের করা যেত। তাদের লাশও তো স্থানীয় জনতাই খুঁজে পেয়েছেন? পুলিশ তো খুঁজে পায়নি। কেয়া চৌধুরী বলেন, শিশু ও মহিলাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকিও তাবিজ-কবজের কথা শুনে ক্ষিপ্ত হয়েছেন। তিনি এ কারণে নির্দেশ দিয়ে গেছেন কর্মরত অফিসারদের কোনো গাফিলতি থাকলে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। আমি মনে করি গাফিলতি একটা অপরাধ। এক-দুজন অফিসারের জন্য কেন পুরো পুলিশ বাহিনীকে দুর্নাম বয়ে বেড়াতে হবে। পুলিশ বাহিনীতে অনেক ভালো অফিসার রয়েছেন। এ ছাড়া কেয়া চৌধুরী বলেন, প্রতিমন্ত্রী পুলিশের কোনো গাফিলতি আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন এসপিকে। এমন কোনো কমিটি হয়েছে বলে আমি এখনও জানি না। হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশু শুভর পিতা ওয়াহিদ মিয়া বলেন, শুক্রবার ছুটির দিন ছিল। তাই তাদের স্কুল বন্ধ ছিল। জুমার নামাজের পর উঠানে বসা ছিলাম। আমার শুভ এসে বলল, আব্বু আমি বাজারে যাব। কাল যে জুতা এনেছো তা ছোট হয়েছে। পায়ে লাগে না। আমি নিজে গিয়ে পায়ে লাগিয়ে জুতা আনবো। এরই মধ্যে তিনটা বেজে যায়। একে একে আসে তাজেল, মনির ও ইসমাইল। তাদের সবাইকে নিয়ে সে বেরিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর আমিও রশিদপুর বাজারে যাই। সন্ধ্যার দিকে শুভর মা আমাকে ফোন করে জানায় শুভ বাড়িতে আসেনি। আমি বলেছি, আরও কিছুক্ষণ দেখ, হয়তো কোথাও খেলতে গেছে। এর আধঘণ্টা পর আবার ফোন দেয়। বলে এখনও ওরা বাড়ি পৌঁছায়নি। আমি চিন্তিত হয়ে পড়ি। বাজারেই ছিলাম। গোটা বাজার তন্ন তন্ন করে খুঁজি। বাড়িঘরের সবাই বেরিয়ে পড়ে। স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ নেয়। কোথাও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে বাজারে দেখা হয় গ্রামেরই আহাদের সঙ্গে। সে জানায়, বাজারে আসার পথে নিখোঁজ চার শিশুকে বাচ্চুর সিএনজিতে দেখেছে। সেলিম নামের একজন আহাদকে জেরা করে। তুই সত্যিই দেখছস? এ সময় আহাদ বলেছে, আমি নিজেও ওই সিএনজিতে উঠতে চাইছিলাম। কিন্তু আমাকে ওঠায়নি। বাজার থেকেই বাচ্চুকে ফোন দিই। সে জানায় না বেডা তোমার বাচ্চারা আমার সিএনজিতে ওঠেনি। সেলিমও ফোন দেয় বাচ্চুকে। সেলিমকে বাচ্চু জানায়, আমার সিএনজি অটোরিকশায় শিশু কজন এসেছে, তবে ওরা নয়। আমার সিএনজিতে এসেছে আলীর দুই নাতি, রইছ উল্লার নাতি। শুভর বাবা বলেন, দৌড়ে বাড়ি আসি। বাচ্চু যাদের কথা বলেছে, সেই বাচ্চাদের জিজ্ঞেস করি। তারা জানায়, বাচ্চুর সিএনজি অটোরিকশায় তারা আসেনি। দিশা হারিয়ে ফেলি। পাশের গ্রামে তফসির মাহফিল হচ্ছে। দৌড়ে যাই সেখানে। খোঁজ করি। কিন্তু পাইনি। পরে তফসির মাহফিলের মাইক দিয়ে নিখোঁজ সংবাদ প্রচার করা হয়। রাতেই দৌড়ে যাই থানায়। ওসি তদন্ত আবদুর রহমান স্যারকে সব জানাই। তিনি জিডি নেননি। বলেন, আজ রাত হয়ে গেছে। কাল এসো জিডি করে দেবো। পরদিন বিকালে গেলে জিডি নেন। এ সময় খুন হওয়া ইসমাইলের পিতা আবদুল কাদির বলেন, ওসিকে বাচ্চুর সিএনজিতে ওঠার বিষয়টি জানাই। আবদুল আলী বাগালের সঙ্গে বিরোধের বিষয়টিও জানাই। কিন্তু তিনি কোনো কর্ণপাত করেননি। উলটো তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, তজবি পড়াও, দোয়া-দুরুদ পড়। আমরা বাহির দেখছি, তোমরা এলাকা দেখ। এভাবে খুঁজতে খুঁজতে মঙ্গলবার পর্যন্ত যায়। মঙ্গলবার রাতে ওসি পরামর্শ দেন একটি অপহরণ মামলা করতে। অজ্ঞাত আসামি দিয়ে ওই অপহরণ মামলা করা হয়। ওসি নিজেই এর এজাহার গ্রহণ করেন। শিশু মনিরের পিতা আবদাল মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এতে বলা হয়, আমি মো. আবদাল মিয়া, গ্রাম সুন্দ্রাটিকি, থানা বাহুবল। আমার ভাই ওয়াহিদ মিয়া ও আমার চাচাতো ভাই আ. কাদিরসহ থানায় হাজির হয়ে এই মর্মে এজাহার করছি যে, গত ১২ই ফেব্রুয়ারি বিকাল আনুমানিক সাড়ে চারটায় আমার ছেলে মনির মিয়া (৭), ভাতিজা ইসমাইল (১০), জাকারিয়া (৮) ও তাজেল মিয়া (১০) আমাদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী পশ্চিম দিকের খোলা মাঠে খেলাধুলা করার জন্য বের হয়। এরপর থেকে তারা আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। ঘটনার পর আমরা আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করি এবং এলাকায় মাইকিং করে কোথাও তাদের সন্ধান না পেয়ে ঘটনার পরদিন আমার ভাই ওয়াহিদ মিয়া বাহুবল মডেল থানায় একটি জিডি করেন। যার নম্বর-৫১৬। ঘটনার পর থেকে পুলিশ প্রশাসনসহ স্থানীয় লোকজন বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করে আমার ছেলে ও আমার ভাতিজাদের অদ্যাবধি কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এতে আমার সন্দেহ হচ্ছে আমার গ্রামের পশ্চিম পাশে পতিত ধানি জমি, যা বর্তমানে ফুটবল খেলার মাঠ হিসেবে বাচ্চারা খেলাধুলা করে থাকে। ওই স্থান থেকে অজ্ঞাতনামা আসামিরা যোগসাজশে আমার ছেলে মনির মিয়া ও তিন ভাতিজা ইসমাইল, জাকারিয়া শুভ ও তাজেল মিয়াদের প্রলোভন দিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অজ্ঞাতনামা আসামিরা কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে কিংবা পাচারের উদ্দেশ্যে আমার ছেলেসহ তিন ভাতিজাকে অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে আটক রেখেছে কিংবা পাচার করে দিয়েছে। আমার ছেলেসহ ভাতিজাদের খোঁজাখুঁজি কাজে ব্যস্ত থাকায় থানায় এসে এজাহার করতে বিলম্ব হলো। আবদাল মিয়া বলেন, পুলিশ সবকিছু টাইপ করে আমার কাছে নিয়ে আসে। আমি শুধু স্বাক্ষর করি। আবদাল মিয়া বলেন, বাচ্চুকে সঙ্গে সঙ্গে ধরলে হয়তো আমাদের সন্তানদের এভাবে মরতে হতো না। আবদাল মিয়া আরও জানান, আমরা সব সময় বলেছি, বাচ্চুর সিএনজি অটোরিকশায় শিশুদের নেয়া হয়েছে। তাকে ধরুন। ওসি আমাদের বলেছে, কাউকে ধরলে বাচ্চা পাওয়া যাবে না। তোমরা বাচ্চা খুঁজতে থাক। ওসির পরামর্শে তাবিজ-কবিজ করতে গিয়ে আমাদের অনেক টাকা খরচ হয়েছে। এক কবিরাজ বলেছে, মাধবপুর যাও। রাত ১২টার পর পাবে। মাধবপুর গিয়ে সারারাত খুঁজেও তাদের পাওয়া যায়নি। ওসি মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি তাদের কবিরাজের কথা বলিনি। বরং তারাই কবিরাজের কথা বলায় আমি তাদের সঙ্গে করে ফোর্স নিয়ে চুনারুঘাট কালেঙ্গা পাহাড়ে যাই। অনেক খোঁজাখুঁজি করি। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। এ ছাড়া অপহরণ মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয় তদন্তের জন্য। থানা ও পুলিশ নিয়ে শুরু থেকেই কাজ করছিলেন হত্যাকাণ্ডের শিকার চার শিশুর চাচা সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শাহজাহান তালুকদার। তিনি বলেন, জিডি করা থেকে লাশ উদ্ধার এবং এখন পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে আমি যোগাযোগ রক্ষা করে চলছি। নিখোঁজের দিন শুক্রবার রাত ৯টায় আমার আব্বা আবদুল খালেক তালুকদার ফোন করে নিখোঁজের তথ্য জানান। রাত সাড়ে ৯টায় বড় ভাই হুমায়ুন কবীর তালুকদার ফোন করে জানান তাদের পাওয়া যাচ্ছে না। রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় সন্ধান করে না পেয়ে দৌড়ে থানায় যাই। থানার পাশেই আমার বাসা। আমার ভাইও কাছাকাছি থাকেন। তাকেও থানায় আসতে বলি। থানায় গিয়ে ওসি তদন্তকে জানানোর পর তিনি জানান, মাইকিং করে গেছে যারা তারাও এসেছিল। পরদিন জিডি করার পরামর্শ দেন। পরদিন আমার একটি কর্মশালা ছিল। দুপুর দুটায় আসি থানায়। এসআই জহির ছিলেন ডিউটি অফিসার। জিডি করার পর তিনি বললেন, এসআই জিয়া যাবেন তদন্তে। সন্ধ্যার পর এসআই জিয়া তদন্তে যান। তিনি আমাদের কাছে জানতে চান আমাদের কাছে কোনো ইনফরমেশন আছে কি না। আমরা ইনফরমেশন দেই। রোববার ওসি সুন্দ্রাটিকি গ্রামে যান। তিনি সবাইকে দোয়া-দুরুদ পড়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ওসিকে বাচ্চুর সিএনজি অটোরিকশায় করে বাচ্চাদের নিয়ে যাওয়ার কথা এবং আবদুল আলী বাগালের সঙ্গে বিরোধের কথা বললে তিনি বলেন, এখন আক্রোশ মেটানোর সময় নয়। শাহজাহান তালুকদার বলেন, বুধবার সকালে অপহরণ মামলার এজাহারের কপি নেয়ার জন্য থানায় যাই। ওই সময় আমার কাছে ফোন আসে তাদের লাশ পাওয়া গেছে। এ খবরটি তাৎক্ষণিক ওসিকে জানালে তিনি আমাকেসহ ফোর্স নিয়ে এলাকায় যান।
নিখোঁজের ১০ দিনে মিলাদ: গতকাল সকালে সুন্দ্রাটিকি গ্রামে গেলে দেখা যায় নিস্তব্ধ এক পল্লী। নিখোঁজ শিশুদের বাড়িতে চলছিল মিলাদের আয়োজন। শোক নিয়ে বাড়ির বউ-ঝিরা উঠানে বসে কাজ করছিল। সবার চোখে শোকের কান্না। হঠাৎ হঠাৎ চিৎকার দিয়ে উঠছেন শুভর মা পারুল বেগম। তাজেলের মা চন্দ্রবানুও মাটিতে গড়াগড়ি কাঁদছেন। স্বজনরা এসেছেন তাদের চোখেও জল। দুপুরে মিলাদ পড়াবে স্থানীয় মসজিদের ইমাম। এ বাড়ির সামনেই গত বুধবার থেকে পাহাড়া দিচ্ছে পুলিশ। ২০ জন পুলিশ দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করছেন। গতকাল তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এএসআই কমলাকান্ত। তিনি বলেন, এলাকর শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা অবস্থান করছি।
সুরতহাল রিপোর্টে যা বলা হয়েছে: নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার চার শিশুর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন এসআই জিয়াউদ্দিন। তিনি বলেন, এদের বুকের পাঁজর ভাঙা ছিল। এ ছাড়া প্রত্যেক শিশুর জিহ্বা ভাঁজ করা ছিল। এতে মনে হয়, বুকে চাপ দিয়ে এবং মুখে বালিশচাপা দিয়ে তাদের হত্যা করা হয়েছে। সুন্দ্রটিকি গ্রামের এক কিলোমিটার দূরে ইছাবিল। এ বিলেই বালুচাপা দেয়া হয় ৪ শিশুকে। সেখানে গরু চড়াতে গিয়ে প্রথমে নজর পড়ে গ্রামের অপর দুজন শিশুর। এক শিশুর দুটি হাত বালুর ওপরে ছিল। তাদের কাছে খবর পেয়েই গ্রামবাসী ছুটে যান সেখানে। পুলিশ গেলে তুলা হয় লাশ। লাশ তুলায় ছিলেন সুন্দ্রটিকির মোশাহিদ। তিনি বলেন, তাজেল ও শুভর লাশ ছিল সবার ওপরে। তাদের একজনের হাত শিয়ালে খেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে শেয়ালে মাটি খুঁড়ে লাশ টেনে উপড়ে আনে। আর এতেই বের হয়ে আসে লাশগুলো।
এদিকে, সুন্দ্রাটিকি গ্রামের ৪ শিশু অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে পুলিশের দুর্বলতা ও গাফিলতির বিষয়টি তদন্তের জন্য ৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছেন। কমিটিকে আগামী ৫ই মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে কমিটিতে আছেন সহকারী পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় ও কোর্ট ইন্সপেক্টর কাজী কামাল। তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। (মানবজমিন)