হাকালুকি হাওরে সৌরচালিত সেচপাম্প স্থাপন
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি : এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকিতে পরীক্ষামুলকভাবে ৩টি সৌরচালিত সেচপাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এতে ৭৫ একর জমিতে চলতি বছর থেকে আবাদকৃত বোরো চাষে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে। ফলে সেচপাম্পের আওতাধীন এলাকায় বোরো ধান খরায় পুড়ে নষ্ট হওয়ার কবল থেকে রক্ষা পাবে। সৌরচালিত সেচ পাম্পে জ্বালানি তেল কিংবা বিদ্যুৎ খরচের ঝামেলা না থাকায় কৃষকরাও খুশি। জানা যায়, হাকালুকি হাওরে পরীক্ষামুলকভাবে ৩টি সৌর চালিত সেচ পাম্প স্থাপন করা হয়। ২০১৫ সালে সেচ পাম্প নির্মাণ কাজ শেষ হয়। হাকালুকি হাওরের গোলাপগঞ্জ উপজেলার কালিকৃষ্ণপুর, বড়লেখা উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের কাজিরবন্দ ও জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের ভুয়াই এলাকায় পরিবেশ অধিদফতরের উদ্যোগে এই সৌরচালিত সেচপাম্প ৩টি স্থাপন করা হয়। গোলাপগঞ্জ উপজেলার কালিকৃষ্ণপুর শাপলা ভিসিজি, বড়লেখার সালিহা কাজিরবন্দ ভিসিজি এবং জুড়ী ভুয়াই নিশ্চিন্তপুর শাহপুর ও বাহাদুরপুর ভিসিজি সদস্যরা সেচপাম্পের তত্ত্বাবধানে আছেন। ২০১৫ সালে শুধুমাত্র এবছর বড়লেখা উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের কাজিরবন্দ এলাকায় সৌরচালিত সেচপাম্পের সুবিধা পায় স্থানীয় কৃষক ও ভিসিজি সদস্যরা। এসব সেচপাম্প সৌরচালিত হওয়ায় পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাছাড়া জ্বালানি তেলের বা বিদ্যুতের জন্য বাড়তি ঝামেলা নেই। সরেজমিন জুড়ী উপজেলার ভুয়াই নিশ্চিন্তপুর শাহপুর ও বাহাদুরপুর ভিসিজি সভাপতি আব্দুস শহিদ মাখন জানান এবং সৌরচালিত সেচপাম্পের জমিদাতা তবারক আলী জানান, এলাকার বৃহত্তর স্বার্থের কথা বিবেচনা করে সেচপাম্প স্থাপনের জন্য ৮শত জমি দান করেন তবারক আলী। ভিসিজি সদস্য ছাড়াও স্থানীয় কৃষকরাও উপকারভোগির তালিকায় আছেন। এব্যপারে হাকালুকি হাওরে কর্মরত বেসকারি সংস্থা সিএনআরএসের ক্রেল প্রকল্পের কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান জানান, পরীক্ষামুলকভাবে ৩টি সৌরচালিত সেচপাম্প স্থাপন করা হয়েছে। সত্যিকার অর্থে যদি কৃষক উপকৃত হয় এবং সৌরচালিত সেচপাম্প সফলভাবে চলে তাহলে হয়তো আগামীতে আরও এধরনের সেচপাম্প স্থাপন করা হতে পারে।