বান কি মুনের জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সহযোগিতা করে যাবে

জাতিসংঘের অধিবেশনে বক্তব্য রাখছেন মাসুদ বিন মোমেন। ছবি- এনা।
জাতিসংঘের অধিবেশনে বক্তব্য রাখছেন মাসুদ বিন মোমেন। ছবি- এনা।

নিউইয়র্ক থেকে এনা: সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস জঙ্গিবাদ দমনে প্রধানমন্ত্রীর ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির অনুসরণে বাংলাদেশ জাতিসংঘ মহাসচিবের সহিংস জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ সম্পর্কিত কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়নে যথাযথ সহযোগিতা করে যাবে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সদ্য প্রকাশিত কর্মপরিকল্পনাটির বিষয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এ কথা বলেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের কর্মপরিকল্পনার সাত দফা প্রস্তাবের সাথে বাংলাদেশের বিদ্যমান সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও দমন কর্মসূচির যথেষ্ট সামঞ্জস্য রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে কোন স্থানীয় বা বিদেশী সন্ত্রাসী বা সহিংস জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর স্থান না দিতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর।  তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় কেবল আইনশৃঙ্খলা বা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই যথেষ্ট নয় বরং সন্ত্রাসের অন্তর্নিহিত কারণ বা চালিকা শক্তিগুলোকেও প্রতিরোধ করা একান্ত প্রয়োজন। তিনি স্থানীয় কারণসমূহের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের দীর্ঘ মেয়াদী কারণসমূহের সমাধানের বিষয়েও গুরুত্ব আরোপ করেন। সর্বোপরি, রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায়ে শিক্ষার বিস্তার, ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রসার, নারী ও যুবক্ষমতায়নসহ স্থানীয় জনগণের সম্পৃক্ততায় সহিংস জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে গৃহীত বহুমূখী কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্টের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় প্রায় ৭০টি দেশের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। তাঁরা সহিংস জঙ্গিবাদের আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতিসংঘ সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তের আলোকে সমন্বিত ও কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। আলোচনা পর্বের অব্যবহিত আগে জাতিসংঘ মহাসচিবের কর্মপরিকল্পনার বিষয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে একটি রেজুল্যুশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। আগামী এপ্রিলে জেনেভায় ও জুনে নিউইয়র্কে জাতিসংঘে পুনরায় এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।