সিলেটে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ৫০
ডেস্ক রিপোর্টঃ সিলেটর সদর উপজেলায় বাদাঘাট এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টেয়ারশেল ও ফাঁকাগুলি ছুড়ে। এতে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বাদাঘাট এলাকায় সোনাতলা, মইয়ারচক গ্রামবাসী ও মগলগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামছুল ইসলাম টুনু লোকজন মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে সোনাতলা, মইয়ারচক, বাদাঘাট এলাকায় ঢাকাস্থ ইউনাটেড নামের একটি কোম্পানী জমি ক্রয় করে আসছে। ওই কোম্পানী মধ্যস্থতাকারী হলেন মোগলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল ইসলাম টুনু। কিন্তু গত ডিসেম্বর মাসে সোনাতলাগ্রামের কিছু লোকের সঙ্গে জমি ক্রয় নিয়ে ঝামেলা বাধে।
এর জের ধরে গত ২৮ ডিসেম্বর টুনু চেয়ারম্যান কয়েকশত লোকজন নিয়ে সোনাতলা-বাদাঘাট এলাকায় মহড়া দেন। এ সময় সোনাতলাগ্রামবাসীও সংর্ঘবদ্ধ হয়ে অবস্থান নেয়। তবে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও পুলিশের মধ্যস্থতায় ওই দিন কোন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।
পরদিন ২৯ ডিসেম্বর বাদাঘাট এলাকায় সোনাতলা, মইয়ারচক গ্রামের উদ্যোগে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভা থেকে সোনাতলা এলাকায় টুনু চেয়ারম্যানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
এদিকে, আজ শুক্রবার সকালে টুনু চেয়ারম্যান দলবল নিয়ে বাদাঘাটস্থ সোনাতলা এলাকায় এসে একটি ঘর নির্মণ শুরু করেন। এক পর্যায়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সোনাতলা ও মইয়ারচকগ্রামের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে ঘর নির্মাণে বাধা দেয়। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে টুনু চেয়ারম্যানের লোকজন পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে জালালাবাদ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ সময় গ্রামবাসীকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য কয়েক রাউন্ড টেয়ারশেল, ফাঁকা গুলি ছুড়ে। তবে এলাকাবাসীও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর গ্রামবাসী পিছু হঠে। এ সময় ৬ পুলিশসহ প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে বেলা ২টার দিকে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আখতার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যমকে সংঘর্ষের ঘটনা সঠিক বলে ফোন কেটে দেন।