রাজনগরে উদ্ধারকৃত শিশুর মৃত্যু-লাশ দাফনে জটিলতা
কমলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার বড়কাপন গ্রামে টয়লেটের সেফটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করা শিশু মৃত্যু হয়েছে সোমবার রাতে। ডাক্তারদের মতে অতিরিক্ত ঠান্ডায় আক্রান্ত ও রক্তে সংক্রমান হয়ে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে মারা যায়। এদিকে রাতে শিশুটির লাশ দাফনে সৃষ্টি হয় জটিলতা। মনসুরনগর ইউনিয়নের সদস্য এম মামুনুর রশিদ জানান, সোমবার ভোরে বড়কাপন গ্রামের দিনমজুর সুনু মিয়ার বাড়ির টয়লেটের পরিত্যক্ত সেফটিক ট্যাঙ্কিতে একটি নবজাতক কন্যা পাওয়া যায়। জন্মের পরপরই পলিথিন মোড়ে শিশুটিকে রাতের কোন এক সময় ওখানে ফেলে যান জন্মদাত্রী মা। পানিতে ভরা ওই টেংকিতে শিশুটি ডুবে না গিয়ে ভেসে থাকে। ভোরে সুনু মিয়া প্রকৃতির ডাকে টয়লেটে যান। টয়লেটের কাছে যেতেই কোন শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পান। তার চিৎকারে জড়োহন আশপাশের লোকজন। উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। বের করা হয় পলিথিন থেকে। পরে ভর্তি করা হয় মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে।
খবর পেয় শিশুটিকে নিতে আসা কমলগঞ্জ উপজেলার রামপাশা গ্রামের নিহারুন বেগম হাসপাতালে শিশুটিকে দেখভাল করেন। সন্ধ্যার পরেই শিশুটির সমস্যা বাড়তে থাকে। শিশুটি ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হলে ডাক্তাররা তাকে সাধ্যমতো চিকিৎসা দিয়ে যান। পরে সোমবার রাত ৯টার দিকে শিশুটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। মনসুরনগর ইউনিয়নের একটি পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের ব্যবস্থা করা হলে কবর খনন করা হয়। লাশ রাখার আগ মূহুর্তে বাঁধ সাধেন বাড়ির মালিক। ইউপি সদস্য বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি তার বাড়ির কবরস্থানে দাফনের ব্যবস্থ্যা করেন। এছাড়াও চেয়ারম্যান মিলন বখত বেওয়ারিশ লাশ দাফনের জন্য তার বাড়ির পাশে ১৫ শতক জমি দান করেছেন। ওই জমিতেই শিশুটিকে দাফনর করা হয়।