কৈলাশটিলা এলপি প্ল্যান্ট থেকে দুদিন ধরে এলপি গ্যাস পরিবহন বন্ধ

tttগোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি: গোলাপগঞ্জের  কৈলাশটিলা এলপি প্ল্যান্ট থেকে দুদিন ধরে এলপি গ্যাস পরিবহন বন্ধ রয়েছে। ৩ দফা দাবীতে ডিলার, কন্ট্রাক্টর ও পরিবহন চালকরা  গতসোমবার থেকে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। ধর্মঘটের কারণে বন্ধ হয়েছে দৈনিক প্রায় ৩ হাজার সিলিন্ডার ভর্তি এলপি গ্যাস পরিবহন। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটি দৈনিক প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মঙ্গলবারও ধর্মঘট অব্যাহত ছিল।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গোলাপগঞ্জস্থ কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের এলপি গ্যাস প্ল্যান্ট থেকে দৈনিক  প্রায় আড়াই হাজার সিলিন্ডার ৪টি কোম্পানি দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে থাকে। এ সিলিন্ডার ট্রাকের মাধ্যমে পরিবহন করা হয়। এখানে উৎপাদিত একটি গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার ৬৭৮ টাকায় ক্রয় করে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও এশিয়াটিক দেশের বিভিন্ন স্থানে বিপনন করে থাকে। ধর্মঘট কারীদের দাবী হচ্ছে-কৈলাশটিলা এলপি গ্যাস প্ল্যান্ট থেকে সরবরাহকৃত সিলিন্ডারে ওজনে কম দেয়া হচ্ছে। গ্যাস ভরাব পর সিলিন্ডারটি ভালভাবে পানির সাহায্যে পরীক্ষা না করে সরবরাহ করা হয়। তারা অভিলম্বে গ্যাস ভর্তি একটি সিলিন্ডারের নির্ধারিত ওজন সাড়ে ১২ কেজি গ্যাস সরবরাহ ও সিলিন্ডার ভালভাবে পরীক্ষা করে সরবরাহের দাবী জানান।
জুবায়ের আহমদ চৌধুরী নামের একজন ডিলার জানান, প্রতি সিলিন্ডারে সাড়ে ১২ কেজি গ্যাস দেয়ার কথা থাকলেও পাওয়া যায় মাত্র ৮-১০ কেজি। এ কারণে গ্রাহকদের সাথে তাদের প্রায়শ বিতন্ডা হয়।  সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলার পরও তারা এ নিয়ে কর্ণপাত করে না। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে ডিলার, কন্ট্রাক্টর ও পরিবহন চালকরা  ধর্মঘটে নামতে বাধ্য হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ধর্মঘট চলছিল বলে জানান তিনি।
কৈলাশটিলা এলপি গ্যাস প্লান্টের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম ফসিউর রহমান জানান, তারা প্রতিটি খালি সিলিন্ডার পানি দ্বারা নিরাপদ অবস্থায় এবং কোম্পানী গুলোর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সঠিক ওজনের মাধ্যমে সরবরাহ করে থাকেন।