পথেই ঘর, পথেই বসতি
ডেস্ক রিপোর্টঃ নকীব মো. মোতাহার হোসেন। পেশায় একজন নাবিক ছিলেন। এদেশ ওদেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন। বেড়ানোর নেশা তার কাটেনি। তাই অবসর নেওয়ার পর বাইসাইকেলে দেশ ভ্রমণে বেড়িয়েছেন তিনি।
অবশ্য তার এই বাইসাইকেল ভ্রমণের বেশ কিছু স্লোগান রয়েছে। সেগুলো হলো- আপনার সন্তানকে নিয়মিত স্কুলে পাঠান, শিক্ষা জাতির মেরুদ-, আপনার শিশুকে সঠিক সময়ে টিকা দিন, টিকা ৬টি মারাত্বক রোগ থেকে মুক্ত রাখে, মাদকমুক্ত সমাজ তথা দেশ গরুন, মাদককে না বলুন ইত্যাদি।
তার আগে তিনি বাইসাইকেলে দেশ ভ্রমণের অনুমতি চেয়ে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের দপ্তরে একটি আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ২৬ এপ্রিল তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজম খান ভ্রমণের অনুমতি প্রদান করেন। অনুমতি পাওয়ার পর ২০০৯ সালের ২০ ডিসেম্বর তিনি নিজ জেলা বাগেরহাট সদর উপজেলার বাদেকাড়াপাড়া গ্রাম থেকে বাইসাইকেল নিয়ে দেশের ৬৪ জেলা শহর ও দেশের প্রতিটি উপজেলা শহর ঘুরে দেখার জন্য বের হন। তারপর থেকে তিনি পথে পথেই রয়েছেন। পথেই তার ঘর, পথেই তার বসতি। মাঝে তিনি দুই বার সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।
চলার এক ফাঁকে কথা হয় নকীব মো. মোতাহার হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, দেশ-বিদেশে অনেক ঘুরেছি। গ্রিক হ্যালোমিক কোম্পানিতে ১৯৮৯ সালে চাকরিতে যোগদান করি নাবিক হিসেবে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ২০০২ সালে অবসর নিয়ে দেশে চলে আসি। দেশে এসে সচেতনতামূলক কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। তাই মানুষকে সচেতনতার লক্ষে দেশ ভ্রমণে বের হয়েছি।
বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে রয়েছেন। এখান থেকে মিরপুর, দৌলতপুর ও ভেড়ামারা উপজেলা ঘুরে তিনি পাবনা জেলার উদ্দেশ্য রওনা হবেন। ইতিমধ্যে তিনি মেহেরপুর জেলা ঘুরে কুষ্টিয়ার খোকসা, কুমারখালী ও সদর উপজেলা ঘুরেছেন।
তিনি বলেন, পাবনা জেলা ভ্রমণ করা হলেই তার সমস্ত জেলা ও উপজেলা ভ্রমণ শেষ হবে। এরপর ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জনসচেতনতামূলক স্লোগান ও দেশ ভ্রমণ সর্ম্পকে সাধারণ মানুষকে অবহিত করবেন।