পাগল নয়, পরকীয়ার কারনেই বিশ্বনাথে গৃহবধু খুন!
ডেস্ক রিপোর্টঃ বড় ভাইয়ের স্ত্রীর সাথে পরকীয়া ও যৌতুকের কারণে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালিমা আক্তার হেলেনকে খুন করেছে বিশ্বনাথের পাষন্ড নুরুল ইসলাম জুলফিকার। নিহত হেলেনের বড় ভাই রফিক আহমদ বোনের হত্যাকান্ডের ব্যাপারে এ অভিযোগ এনে বিশ্বনাথ থানায় শুক্রবার একটি হত্যা মামলাও দায়ের করেছেন। আসামি করেছেন হেলনের স্বামী নুরুল ইসলাম জুলফিকার, জুলফিকারের বড়ভাই সামছুল ইসলাম ও ছোট ভাই লাল মিয়াসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে।
মামলার অভিযোগপত্রে রফিক আহমদ উল্লেখ করেন, প্রায় ৭ মাস পূর্বে হালিমা আক্তার হেলনের বিয়ে হয় বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের দিঘলী খোজারপাড়া গ্রামের মৃত মোজেফর আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম জুলফিকারের সঙ্গে। কিন্তু স্ত্রীকে রেখে জুলফিকার তার বড় ভাই সামছুল ইসলামের স্ত্রী’র সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করেন। সে প্রায় সময় নির্যাতন করতো হেলেনকে।
তাছাড়া হেলেনের স্বামী জুলফিকারসহ আসামিরা হেলনের কাছে একটি মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, টিভি ও নগদ ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। হেলন বিষয়টি তার ভাই রফিক আহমদসহ স্বজনদের জানালে যৌতুকের এসব দাবি পুরণ করা সম্ভব হয়নি তাদের। ফলে নির্যাতন আরো বেড়ে যায় হেলনের উপর।
প্রায় এক মাস পূর্বে হেলনের দুবাই প্রবাসী ভাই শরিফ আহমদ বাড়িতে আসার পর নুরুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হলে জুলফিকারসহ উল্লেখিত আসামিরা হেলনের সঙ্গে কিছুদিন ভালো আচরণ করে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তার।
বৃহস্পতিবার রাতে হেলন তার শশুর বাড়িতে রাতের খাবার খেয়ে নিজ কক্ষে ঘুমাতে যাওয়ার পর জুলফিকার ফের যৌতুক দাবি করে। শুক্রবার সকালে সে আবার যৌতুকের কথা বলে। ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হেলন এসময় যৌতুকের দাবি মেটাতে অপারগতা জানালে তাকে ছোরা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পাষন্ড জুলফিকার।
এব্যাপারে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘হেলনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও হেলের বড় ভাই বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বাকি আসামি ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে জানা তিনি।
উল্লেখ্য, স্ত্রী হেলেনকে হত্যার দায়ে শুক্রবার সকালে ছুরিসহ ঘাতক নুরুল ইসলাম জুলফিকারকে (২৫) তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সুরতহাল রিপোর্টে নিহত হেলনের শরীরে ৭টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।