কোম্পানীগঞ্জের দিনমজুর ময়নুল হক হত্যা মামলার আসামীরা ধরা ছোয়ার বাইরে
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের শিলাকুড়িতে বিল থেকে জোরপুর্বক মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হাতে খুন হওয়া দিনমজুর ময়নুল হকের ছেলের দায়ের করা মামলার আসামীরা এখনও ধরা ছোয়ার বাইরে। এজাহার নামীয় ২ নং আসামী একই গ্রামের নিয়ামত আলীর ছেলে মখলিছকে আটক করলেও বাকি ৯জন আসামী এখনও পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়। মামলার বাদী সুরুজ আলীর ভাই সুলতান জানান প্রতিনিয়ত আসামীর পক্ষের লোকজন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে। উল্লেখ্য যে, গত ১৭ জানুয়ারী সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার শিলাকুড়ি গ্রামের খন্তা নামক স্হানের জলমহালটিতে ১৫/২০ জনের একটি দাঙ্গাবাজ, সন্ত্রাসীর দল জোরপুর্বক মাছ ধরে নেয়ার জন্য গেলে বাদীর পিতা শিলাকুড়ি গ্রামের দিনমুজর নিহত ময়নুল হক ও তার ভাই সুলতান (৪০) এতে বাধা প্রদান করেন। এসময় সংঘবদ্ধ সন্ত্রসীরা বাদী, বাদীর পিতা, ভাইকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে প্রানে মেরে ফেলার জন্য আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। আহতদের চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। স্হানীয় এলাকাবাসী আহতদেরকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এর মধ্যে বাদীর পিতার শারীরিক অবস্হা আশংকাজনক হলে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্হায় বাদীর পিতা মযনুল হক (৬৫) ১৯ জানুয়ারী মারা যান। এ ঘটনায় বাদী কোম্পানীগগঞ্জ থানার শিলাকুড়ি গ্রামের মৃত ইনছান আলীর ছেলে নিয়ামত আলী (৬০), নিয়ামত আলীর ছেলে হাবিব (৩০), মখলিছ (৪০), এখলাছ (৩৫), মুহিবুর রহমান (২৫), মুজিব (২০), খলিল মিয়ার ছেলে আরিফ (৪৫), মৃত আইন উদ্দিনের ছেলে সেলিম (৩০), এবং ইসলাম উদ্দিনের ছেলে রহিম উদ্দিন (৩০)সহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামী করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মামলা নং-০৯ তারিখ-১৮/০১/২০১৬ইং। উক্ত মামলায় ২ নং আসামী মখলিছকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কিন্তু পলাতক বাকি আসামীরা বাদী ও বাদীর ভাইকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্হায় বাদী ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কোম্পানীগঞ্জ থানার এস আই আমিনুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বাকি আসামীদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আমরা তাদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসব। তবে তিনি বলেন আসামীরা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় গ্রেফতারে একটু বিল¤॥^ হচ্ছে। আমাদের সোর্স লাগানো আছে খবর পেলে আসামীদেরকে গ্রেফতার করা হবে। আসামী কর্তৃক বাদীকে হুমকির ব্যাপারে তিনি বলেন এ ব্যাপারে কিছু জানিনা। তবে বাদী হুমকির ঘটনায় থানায় সাধারন ডায়েরী করতে পারেন। এ জন্য পুলিশ তাকে সাহায্য করবে।