ছাত্রলীগ নেতা হাবিব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১০ শিক্ষার্থীকে বহি:স্কার
ডেস্ক রিপোর্টঃ সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিবিএ চতুর্থ বর্ষের ছাত্র কাজী হাবিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ ছাত্রকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় সিণ্ডিকেটের এক জরুরি সভায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রাথমিকভাবে দোষীদের সনাক্ত করে সাময়িকভাবে এ বহিষ্কারাদেশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ পরিচালক তারেক উদ্দিন তাজ এ সাময়িক বহিষ্কারাদেশের সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, প্রাথমিক তদন্তে দোষীদের সনাক্তপূর্বক এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কাজী হাবিব ছাত্রলীগ কর্মী ছিলেন। গত মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগেরই প্রতিপক্ষ গ্রুপ হামলা করে কাজী হাবিবের উপর।
হামলার প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটায় নগরীর শামীমাবাদে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাঠে সাগর ও সোহেলের নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগকর্মী তার উপর হামলা চালায়। এসময় হাবিবকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তারা। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে নগরীর মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ১১ টায় এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
খুনের ঘটনায় ১১ জনকে আসামীকে করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ছাত্রলীগ কর্মী হোসাইন আহমদ সাগরকে মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে।
জানা যায়, কাজী হাবীব সাগর গ্রুপের কর্মী ছিলেন। সম্প্রতি তিনি গ্রুপ বদল করে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম তুষার গ্রুপে যোগ দেন।
নিহত হাবিব কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের রানীঘাট গ্রামের কাজি সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।